সাব্বির-মিঠুনদের কী হলো!
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। কে নেই সেখানে! ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক। এর পর বিশ্বকাপ খেলে আসা মোহাম্মদ মিঠুন ও সাব্বির রহমান। আছেন পেস বোলার রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা নাজমুল ইসলাম ও আফিফ হোসেনও আছেন এ দলে। জাতীয় দলের ছায়া দলটিই আফগান তরুণদের কাছে একের পর এক হেরে চলছে। প্রশ্ন একটাই, কী এমন হলো যে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গে এভাবে হারতে হবে!
সোজা কথা, আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে যেন কোনোভাবেই পেরে উঠছে না বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে হেরে গেল মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন দল। যার ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল আফগানরা। তবে গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচটি এত সহজ হয়নি। উল্টো ম্যাচের লম্বা একটা সময় জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশই। কিন্তু শেষদিকে ডেথ ওভারের বোলিং ব্যর্থতায় ৪ উইকেটের পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে সাব্বির-মিঠুনদের।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। যা ৬ উইকেট হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই করে ফেলেছে আফগানিস্তান। ২৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি সফরকারীরা। আগের ম্যাচে ২০২ রানের অবিচ্ছিন্ন উদ্বোধনী জুটি গড়া দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান, এ ম্যাচে বিচ্ছিন্ন হন মাত্র ২৮ রানেই। ১৯ বলে ২১ রান করা গুরবাজকে সাজঘরে পাঠান শফিউল ইসলাম।
কিন্তু একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ইব্রাহিম। তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো থাকেননি কেউই। উসমান গনি ২৬, অধিনায়ক নাসির জামাল ১১, দারউইশ রাসুলি ৭ ও করিম জানাত ২৪ রান করে আউট হয়ে গেলে ৪৩ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৯৭ রান।
অন্যপ্রান্ত থেকে সহায়তা না পেলেও বীরোচিত ব্যাটিংয়ে ততক্ষণে নিজের ইনিংসটিকে বড় করে ফেলেছিলেন ইব্রাহিম। শেষের ৭ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৮২ রান। সাত নম্বরে নামা শরাফুদ্দিন আশরাফকে নিয়ে মাত্র ১৯ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে তিনি সাজঘরে ফেরেন ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে। শফিউলের বোলিংয়ে ফরহাদ রেজার হাতে ধরা পড়ার আগে ৭টি করে চার-ছক্কার মারে ১৪৯ বলে ১২৭ রান করেন ইব্রাহিম।
তার বিদায়ের পরেও শেষের ৪ উইকেটে ২৩ বলে ৩৫ রান করতে হতো আফগানিস্তানকে। কিন্তু এ ম্যাচটিও রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শরাফুদ্দিন ১৭ বলে ৩৬ ও ফজল নিয়াজাই ৮ বলে ১৭ রান করে ৫ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ এ দল। টপঅর্ডারের প্রথম পাঁচজনই পান রানের দেখা। সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
এছাড়া ইমরুল কায়েস ৪০, এনামুল বিজয় ২৬, মোহাম্মদ নাইম ৪৯ ও সাব্বির রহমান করেন ৩৫ রান। একপর্যায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৫ রান। মনে হচ্ছিলো সহজেই ৩০০ রানের বেশি করতে পারবে তারা। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা ভালো করতে না পারায় শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রানেই থামে দলের ইনিংস।
আগামী ২৪ জুলাই একই মাঠে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি খেলবে দুই দল। সে ম্যাচ জিতে গেলে সিরিজ নিশ্চিত হবে আফগানদের। অন্যদিকে সিরিজে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে খেলতে নামবেন ইমরুল, শফিউলরা।