বেতন পেতেন না ক্রিকেটাররা
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১২:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯
এক সময়ের দাপুটে ক্রিকেট দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের অকৃত্রিম বন্ধু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাঙ্গনে চলছে ভীষণ দুর্দিন। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ মানেই আইসিসির কাছে নিয়মবহির্ভূত কাজ। এমন সংশ্লিষ্টতায় জিম্বাবুয়েকে বহিষ্কার করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সফর সূচি ও ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনে পুরোপুরি অপারগ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। ইতোমধ্যে তাদের ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে বিসিবি যে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিষেধাজ্ঞার কারণে যোগ দিতে পারছেনা জিম্বাবুয়ে। জানা গেছে শুধু আইসিসির নিষেধাজ্ঞাই নয়, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশটির ক্রিকেটাররা ঠিকমতো বেতন না পাওয়ার ঘটনাও।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের একজন মুখপাত্র ক্রিকবাজকে বলেছেন, বোর্ডের কর্মকর্তাদের মতানৈক্যের প্রভাব পড়েছে পুরো দলটির ওপর। এমনকি বিনা বেতনে ক্রিকেটারদের মাসের পর মাস খেলে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আমাদের দলকে আবারও মাঠে দেখতে চাই। এজন্য আইসিসি এবং স্টেকহোল্ডারদের যতটা সহযোগিতা করা দরকার তা করা হবে। আমি আশাবাদী, খুব দ্রুতই আইসিসি সদস্যপদের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেবে।
ক্রিকেটবিশ্বে একসময় উঠতি শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এক পর্যায়ে বর্ণবাদ আর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ে তারা। একইসঙ্গে তাদের বোর্ডে ভয়াবহ দুর্নীতি শুরু হয়। যে কারণে ক্রিকেটাররা বেতন পর্যন্ত পাচ্ছিলেন না! ম্যাচ ফি তো বহু দূরের কথা। স্রেফ ভালোবাসার কারণেই বেশিরভাগ ক্রিকেটার খেলে যাচ্ছিলেন এতদিন। কিন্তু এবার সেটাও বন্ধ হয়ে গেল। আইসিসি তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কিংবা আইসিসির এফটিপির আওতায় থাকা কোনো সূচিতেও অংশ নেবে না।
ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করা নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দরিদ্র দেশটিকে সহযোগিতা না করে কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো- এমন প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আগামীকাল মঙ্গলবার আইসিসির বার্ষিক সভায় জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এদিকে আইসিসির এমন সিদ্ধান্তের পর জিম্বাবুয়ের অনেক ক্রিকেটারই ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন! সিকান্দার রাজা জানিয়েছেন, শুধু তারই নয় অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারই এখন হুমকির মুখে। ইতোমধ্যে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন অলরাউন্ডার সোলোমন মিরে।
ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা) এক বিবৃতিতে বলেছে, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা নানা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এসেছে। তারা বোর্ড সম্পর্কিত নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে অতীতেও গিয়েছে, এখনো যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা মাসের পর মাস কোনো বেতন পায়নি, ম্যাচ ফি পায়নি। তাদের সঙ্গে বার বার চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে।
আমরা আইসিসির কাছে দাবি জানাচ্ছি, এমন কিছু করতে যাতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ক্রিকেটারদের চুক্তিকে সম্মান জানানো হয়।