মেসিই ধ্রবতারা
খেলা ডেস্ক
🕐 ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৮
একদিকে লিওনেল মেসি অন্যদিকে ফ্রান্স! টিমগেম বনাম ব্যক্তিগত প্রতিভার ঝলক। একের সঙ্গে এগারো। শেষ ষোলতে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচের এটাই মোটা দাগে উপসংহার। কার জয় হবে, সেটা শুধু জানা যাবে ম্যাচ শেষেই। শনিবার রাত ৮টার ম্যাচে নীল-সাদা শিবিরে মেসিই ধ্রবতারা।
তিনিই গোল করবেন, তিনিই গোলের পাস দেবেন। তাতে যদি সতীর্থরা সফল হন তাহলেই শেষ হাসি আর্জেন্টিনার।
এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টনা মানেই দুর্বল রক্ষণ, ততধিক অসহায় গোলকিপার, ভঙ্গুর মাঝমাঠ, নার্ভাস দেখানো স্ট্রাইকার। তবু এই দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা চলছে। একজন মেসি আছেন না! এলএম টেন মানেই সবুজ গালিচায় ফুটে ওঠা কবিতা। শিল্পের ফুল ফোটানো। একের পর এক ড্রিবলে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেওয়া। কিন্তু, তিনি একা কি পারবেন বারবার খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করতে? সেরা ছন্দে তিনিও তো নেই। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম এক ডজন গোলমুখী শটে আসেনি সাফল্য। যা এসেছে ১৩তম প্রয়াসে, নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে অনবদ্য গোলে। খানিক পরের ফ্রি-কিকেও নিশ্চিত ছিল গোল, পোস্ট বাধা হয়ে না উঠলে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বল জালে জড়ানোই নিশানা হতে হবে। না হলে নীল-সাদা জার্সির গোল করার লোক কোথায়!
একটাই ভরসা মেসি। আর্জেন্টিনা শিবিরে রক্তমাখা মুখেও মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হাভিয়ের মাসচেরানো রয়েছেন। বানেগাকেও মাঝমাঠে সক্রিয় দেখাচ্ছে। কিন্তু ফিনিশং টাচ দেওয়ার লোক ওই একটাই। একমুখ দাড়ির মেসি। শনিবারও কি বজায় থাকবে সেই ধারা? তবে তার জন্য সতীর্থদের সহযোগিতা দরকার মেসির, দরকার হার-না-মানা লড়াইয়েরও। মেসি নিশ্চয়ই জিনিয়াস। কিন্তু, বারবার ত্রাণকর্তা হওয়া তার পক্ষেও অসম্ভব। যতই প্রতিভা থাক, তিনিও তো মানুষ। ফুটবল খেলাও যে এগারো জনের, একার নয়! এর আগে মাত্র দু’বার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা। একবার ১৯৩০ সালে। পরেরবার ১৯৭৮ সালে। দু’বারই জিতেছে আর্জেন্টিনা।