ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অনন্য মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৯

চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। নিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ৭৮ রান। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ১ রান। এরপরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহাকাব্যিক সেঞ্চুরি। অজিদের বিপক্ষে ৯৫ বলে তিন অঙ্কেও দেখা পেতে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৯টি চার আর ১টি ছক্কা। ইনিংসের শেষ অবধি ব্যাট করে অপরাজিত ছিলেন। চার নম্বরে নামা মুশফিক ৯৭ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

গতকাল বাঁচা-মরার ম্যাচে আবারও মুশফিকের কার্যকর হাফ সেঞ্চুরি। ৫৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। গতকালের এই ফিফটি মুশফিকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৫তম। ২১৩ ওয়ানডে ম্যাচের ১৯৭তম ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন ডানহাতি এই রানমেশিন।

গতকাল সাকিবও ছিলেন ধারাবাহিক। এই দুজনের রানের উপর ভর করে আফগানিস্তানকে ২৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।

সাউদাম্পটনের দ্য রোজ বোলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। ৩৬ রান করেছেন তামিম ইকবাল। ২৪ বলে ৩৫ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে স্পিনার মুজিব উর রহমান ৩টি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া দৌলত জাদরান ১টি, গুলবদিন নাইব ২টি ও মোহাম্মদ নবী ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন।

সৌম্য সরকারের পরিবর্তে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি লিটন। ১৭ বলে ১৬ রান করে ফিরে গেছেন সাজঘরে। দলীয় ২৩ রানে মুজিব উর রহমানের বলে হাশমতউল্লাহ শহীদির হাতে ক্যাচ হয়েছেন তিনি। যদিও এই ক্যাচ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এরপর সাকিব ও তামিমের ব্যাটে দারুণ খেলছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু সাকিবকে রেখে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। ১৭তম ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড হন তিনি। ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন তামিম। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল ফিরে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। সাকিব ৬৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

কিন্তু এরপর তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রান করে ৩০তম ওভারে তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর সৌম্য নেমে ফিরে যান ১০ বলে ৩ রান করে।
সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর ৫৬ রানের জুটি গড়েন মুশফিক-রিয়াদ। রিয়াদ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।

দলীয় ২০৭ রানে গুলবদিনের বলে নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ৪৯তম ওভারে দৌলত জাদরানের বলে তুলে মারতে গিয়ে নবীর হাতে ক্যাচ হন মুশফিক। ইনিংসের শেষ বলে বোল্ড হন মোসাদ্দেক।

 
Electronic Paper