ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আনন্দে ভাসছে দেশ

সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

সাইদ রহমান
🕐 ১১:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০১৯

গায়ে গায়ে লাল সবুজের জার্সি, হাতে হাতে পতাকা, রাস্তাঘাটে-মাঠে সর্বত্র আলোচনা-পর্যালোচনা। উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা কমবেশি গোটা বাংলাদেশেরই গতকালের চিত্র এটি। স্বপ্নের মতো এক জয়ে বাংলাদেশ যে সেমিফাইনালের দিকে এগিয়ে গেল আরেকটু। একই সঙ্গে সামনে আছে কঠিন চ্যালেঞ্জ-মাঠের টাইগারদের পাশাপাশি সেটা ভালোভাবেই জানেন দর্শক-সমর্থকরা।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয়ে সেমির স্বপ্নটা শুধু টিকে থাকা নয়, এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, উইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলো এখন বাংলাদেশের নিচে। এই মুহূর্তে পাঁচ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের পয়েন্ট পাঁচ।

প্রথম পর্বে বাংলাদেশের আর চারটি খেলা বাকি আছে। প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান। পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে কোনো একটিকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। দুই নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ডের চার ম্যাচে পয়েন্ট সাত। এরপর যথাক্রমে ভারত চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট, ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট, বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট, শ্রীলঙ্কা পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট, উইন্ডিজ পাঁচ ম্যাচে তিন পয়েন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ ম্যাচে তিন পয়েন্ট, পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচে তিন পয়েন্ট এবং আফগানিস্তান পাঁচ ম্যাচ খেলে এক পয়েন্টও পায়নি।

বাংলাদেশের সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার দর্শন আগামী ম্যাচ নিয়ে ভাবা। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশের সামনে এখন প্রাচীর হয়ে আছে অজিরা। এ বড় শক্ত কিন্তু আগামীকাল বৃহস্পতিবার ট্রেন্ট ব্রিজে তা ভাঙতেই হবে। উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা মাশরাফিরা তা করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস। সে জন্য আসল কাজ হবে অজি পেসারদের গতির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা; নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট; স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মার্ক উড, জোফরা আর্চার এবং সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওশানে থমাস, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও আন্দ্রে রাসেল-বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই নামি গতি তারকাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। এমন নয়, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গতির কাছে পরাস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ দুদলের পেসাররা সিংহভাগ উইকেট নিলেও, তাতে দায় ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদেরই। ভালো শুরুর পর হুট করে উইকেট বিলিয়ে আসায় সে দুই ম্যাচে আশানুরূপ ব্যাটিং হয়নি বাংলাদেশের।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান। তার মতে, আগের ম্যাচগুলোতে ভালো মানের পেসারদের সামাল দেওয়ায়, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের খেলতে খুব একটা সমস্যা হবে না। বরং আগামীকালের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের সামাল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছেই বলে মনে করেন সাকিব।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমরা আগের তিন ম্যাচেও বিশ্বমানের ফাস্ট বোলারদের মোকাবেলা করেছি। আজও খেললাম বেশ কয়েকজন দ্রুতগতির বোলারদের বিপক্ষে। কাজেই অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারদের নিয়ে তেমন কোনো ভয় নেই।’

 
Electronic Paper