বান্ধবীর মামলায় গ্রেফতার ম্যারাডোনা
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯
বিতর্ক আর ম্যারাডোনা যেন সমর্থক শব্দ। এবার সাবেক বান্ধবীর করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে খবরের শিরোনাম হলেন এ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এমনটি নিশ্চিত করেছে ফক্স স্পোর্টস। গত বৃহস্পতিবার মেক্সিকো থেকে ফেরার পর দেশটির রাজধানী বুয়েন্স এইরেসে আটক করা হয় দিয়াগো ম্যারাডোনাকে। বান্ধবী রোচিও ওলিভার করা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সাবেক বান্ধবী রোচিও অলিভার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে সেই ডিসেম্বরে। তবে অতীত সম্পর্কের মাসুল দিচ্ছেন ম্যারাডোনা। যদিও তাকে কারাগারে নেওয়া হয়নি। ৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনা ও অলিভার বয়সের ব্যবধান ৩০। ২০১২ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। সাবেক ফুটবলার বলে অলিভার সঙ্গে ম্যারোডোনার জমেছিলও ভালো। বান্ধবীকে বুয়েনেস এইরেসের বেলা ভিস্তায় একটি বাড়িও কিনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু অলিভা গত ডিসেম্বরে শুধু ছয় বছরের সম্পর্কেই ইতি টানেননি, ম্যারাডোনাকে বের করে দিয়েছিলেন তার কিনে দেওয়া বাড়ি থেকেই!
গত ডিসেম্বরে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এ জুটির। তার আগে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল ম্যারাডোনা-অলিভার মধ্যে। বিচ্ছেদের পর অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯ মিলিয়ন ডলার বা ৭৬ কোটি টাকার মামলা করেন অলিভা। সে মামলার কারণেই মেক্সিকো থেকে ফেরার পথে গ্রেফতার করা হয় ম্যারাডোনাকে। স্যান মিগুয়েলের পারিবারিক আদালতে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে এ মামলা লড়বেন অলিভা। তবে গ্রেফতারের পর তাকে আটকে রাখেনি পুলিশ। কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। হাতে একটা নোটিসও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৩ জুন এ মামলা নিয়ে শুনানিতে আসতে হবে ফুটবল-কিংবদন্তিকে।
আর্জেন্টিনার এল নুয়েভ চ্যানেলের তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানে কিছুদিন আগে এমন খবরই শুনিয়েছিলেন সাংবাদিক লিও পেকোরারো। সাংবাদিকের দাবি, ম্যারাডোনা অলিভাকে বেলা ভিস্তায় যে বাড়িটি উপহার দিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনিই গলা ধাক্কা খেয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত নাকি অলিভার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার। এই সাবেক খেলোয়াড় ইএসপিএন রেদেস-এ কথাবার্তার একপর্যায়ে নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ দাবি করেছিলেন। পেকোরারোর দাবি, এতে নাকি ক্ষুব্ধ হন ম্যারাডোনা। ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে ম্যারাডোনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানের আরেক সঞ্চালক জানিয়েছিলেন, ‘সে (অলিভা) কোনোভাবেই মেক্সিকো যেতে রাজি হয়নি। সে আর্জেন্টিনাতেই থাকতে চায়।
এদিকে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের দল দোরাদোস দে সিনেলোয়ার কোচ হওয়ার কারণে গোটা সপ্তাহ মেক্সিকোতেই থাকতে হয় ম্যারাডোনাকে। ফলে বিলাসবহুল বাসায় একাকিত্বে কাটত অলিভার। এ কারণে দুজনের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হতে থাকে।