‘সেরা দলটিই বেছে নিয়েছি’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছেন, সেরা দলটিই বেছে নিয়েছেন তারা। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞতাকে। দলে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলা ৮ ক্রিকেটার।
প্রশ্ন উঠেছে অনভিজ্ঞ আবু জায়েদ রাহীর সুযোগ পাওয়া নিয়ে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডানহাতি এই পেসারের। নির্বাচকদেরও এটাই যুক্তি।
দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, ‘যেহেতু ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপটি হচ্ছে সুতরাং অভিজ্ঞতাকে বেশি মূল্যায়ন করেছি। আর ওখানকার কন্ডিশন উপমহাদেশ থেকে ভিন্ন। আমরা কিন্তু এক বছর আগেও ওখানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছি। সে কথা চিন্তা করে অভিজ্ঞ দল সাজানো হয়েছে।’
১৫ জনের এ দলটা কেমন হলো? এ নিয়ে বাইরে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে এই দল গঠন করতে পেরে দারুণ খুশি নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচকের কথাতেই তা স্পষ্ট, ‘আমরা দল নিয়ে সন্তুষ্ট। কারণ অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করে এ দল গঠন করা হয়েছে। সেই হিসেবে মনে করি, এই অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারব।’ দল গঠনের সঙ্গে একটি বেছে নিয়েছি’
লক্ষ্যও যে তারা ঠিক করে রেখেছেন সে বিষয়টিও জানিয়ে দিতে ভুললেন না নান্নু, ‘ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আমরা একটি ভালো ফলাফল করেছিলাম। এবারও একটি লক্ষ্য আছে, এক থেকে চারের মধ্যে থাকার। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা ভালো করব।’
বিশ্বকাপ দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা থাকলেও ফর্ম নেই অনেকের। তাদের মধ্যে সৌম্য ও লিটন অন্যতম। ফর্মহীনতার পরও তাদের কী বিবেচনায় দলে নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘ফর্ম নিয়ে তো আমরা অবশ্যই চিন্তায় আছি। তবে বিশ্বকাপের আগে এখনো সময় আছে। মাঝে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজও আছে। সুতরাং টিম ম্যানেজমেন্ট কোচের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একটি সুযোগ যেহেতু সামনে আছে। ওদের রানে ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
প্রতিটি দেশ দল ঘোষণা করলেও আগামী ২৩ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে। ৫ মে আয়ারল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের (তৃতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ) পারফরম্যান্স কিংবা চোটে নতুন কেউ লন্ডনের বিমান ধরলে অবাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সেই ইঙ্গিতই দিলেন, ‘আমরা একটি লম্বা সফরে যাচ্ছি। সুতরাং এখানে ইনজুরি সমস্যা হতে পারে। আবার কেউ যদি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়, লম্বা সফরে এমন হতে পারে। শারীরিকভাবে আনফিট হতে পারে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ড সফরের পারফরম্যান্সও ধরা হবে। এসব কিছু চিন্তাভাবনা করে আমাদের এগোতে হবে। যেহেতু ২২ মের আগে একটা সুযোগ আছে। সেই হিসেবে এখনই নিশ্চিত থাকা যাবে না এটাই চূড়ান্ত দল।’
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ ও আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত দলের বাইরেও কিছু ক্রিকেটারকে প্রস্তুত রাখবেন বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক, ‘১৭ জনের বাইরে এখানে যারা আছে তাদেরও আমরা একটি প্রস্তুতির মধ্যে রাখব। হুট করে যে কাউকে দরকার হতে পারে। মানসিকভাবে সেভাবে তৈরি করে রাখতে হবে, যেন দ্রুতই বদলি করা যায়।’