ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মিঠুনের দৃঢ় ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩২

খেলাধুলা ডেস্ক
🕐 ১১:১১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯

টপঅর্ডার ব্যর্থতায় পঞ্চাশ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে শঙ্কা জেগেছিল শত রানের মধ্যেই অলআউট হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশ ইনিংসকে পাঁচ নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন এবং নয় নম্বরে নামা মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীন শেষ অবধি নিউজিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের টার্গেট দেন টাইগাররা।

সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেই ঝলমলে ইনিংস খেললেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার হাফসেঞ্চুরিতে উৎসাহ ফিরে পেল বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ৭৩ বলে ৪টি চারে মিঠুন করেন হাফসেঞ্চুরি। তার সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে দলীয় স্কোর দুইশ পার করে বিদায় নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

একে একে তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর ক্রিজে নামেন মিঠুন। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় ধরনের সহায়তা না পেলেও নিজের দায়িত্ব ঠিক পালন করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে ৮৪ রানের জুটি গড়ে আউট হন সাইফউদ্দিন। ৫৮ বলে ৩ চারে ৪১ রান করে মিচেল স্যান্টনারের শিকার হন তিনি।

এর আগে বুধবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি মুর্তজা। প্রথম ১০ ওভারে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। তারপর মাহমুদউল্লাহ ছোট প্রতিরোধ গড়লেও হাল ধরতে পারেননি। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ স্মরণীয় করতে পারেননি সাব্বির রহমান। দারুণ শুরুর পর মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হলে মিঠুন ও সাইফউদ্দিনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

শুরুটা ভালো হয়েছিল সফরকারীদের। প্রথম বলে ম্যাট হেনরিকে চার মারেন তামিম। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দ্বিতীয় ওভারে তিনি বিদায় নেন মাত্র ৫ রান করে। ট্রেন্ট বোল্টের আউটসুইংয়ে পেছনে টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ওপেনার, শেষ হয় তার ৬ বলের ইনিংস।

দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে সুবিধা করতে পারেননি লিটন। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে হেনরির কাছে বোল্ড হন এই ওপেনার। করেন ৮ বল খেলে মাত্র ১ রান। ১৯ রানে ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

মুশফিক ও সৌম্য সরকারের জুটিতে শুরুর এই ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিন বলের ব্যবধানে বিদায় নেন দুজন। অষ্টম ওভারের শেষ বলে বোল্টের কাছে বোল্ড হন মুশফিক (৫)। ২৩ রানের জুটি ভাঙার পর আর কোনও রান যোগ না হতেই চতুর্থ উইকেট হারায় সফরকারীরা। হেনরির শর্ট বল হুক করতে গিয়ে তার হাতেই ক্যাচ দেন সৌম্য। ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩০ রান করেন তিনি।

মিঠুনকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর জুটিও বেশি দূর গড়ায়নি। ২৯ বলে ১৩ রান করে লোকি ফার্গুসনের শিকার হন তিনি।

এরপর মাঠে নামেন সাব্বির। মাশরাফির চাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা কমানোয় দলে জায়গা হয় তারা। কিন্তু তিনি আউট হন মাত্র ১৩ রান করে। ২৩তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে স্টাম্পিং হন সাব্বির। তার ২০ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার। সাব্বিরের বিদায়ের পর ক্রিজে নেমে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন মিরাজ। মিঠুনের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তিনি। স্যান্টনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে জিমি নিশামের ক্যাচ হন মিরাজ। তার ২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ১ ছয়।
মিঠুন ৪৮তম ওভারে বিদায় নেন লোকি ফার্গুসনের কাছে বোল্ড হয়ে। ৯০ বলে ৬২ রান করেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান রানের খাতা না খুলে বোল্ড হন বোল্টের কাছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ একাদশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ (তামিম ৫, লিটন ১, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৫, মিঠুন ৬২, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাব্বির ১৩, মিরাজ ২৬, সাইফ ৪১, মাশরাফি ৯*, মুস্তাফিজ ০; হেনরি ৯-১-৪৮-২, বোল্ট ৯.৫-০-৪০-৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫-০-১৯-০, ফার্গুসন ১০-১-৪৪-২, স্যান্টনার ৮-০-৪৫-৩, নিশাম ৭-০-২৬-০)।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, রস টেলর, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট।

 
Electronic Paper