ম্যাচে স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেননি লিটন দাস এবং মুমিনুল হক। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। এর পরপরই তার দেখানো পথে হাঁটেন লিটনও। ১০ বলে ৩ রান করেন তিনি।

এরপর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধে  সৌম্য সরকার। কিন্তু দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের বদলে তিনি উল্টো বিপাকে ফেলেন ৯ বলে ১ রান করে। ভালো খেলতে পারলেননা মোহাম্মদ মিঠুনও। ৫ বল খেলে তিনি আউট হলেন ১ রান নিয়ে। টপ অর্ডারের বিপর্যয়ে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মুশফিক ও রিয়াদ। দু’জনে মিলে যোগ করেন ১০৮ রান। অর্ধশতকের দেখা পান উভয়ই। ৪৬ বলে অর্ধশতক তুলে নেন মুশি। আর অর্ধশতক তুলে নিতে ৬৬ বল মোকাবেলা করেন রিয়াদ।

৬১ বলে ৬২ রানে মুশফিক বিদায় নিলে দলীয় ১৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক সাজঘরে ফেরার পর সাব্বিরকে সাথে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন রিয়াদ। দু’জনে মিলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। এরপর বড় শট খেলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিলে ভেঙ্গে যায় তাদের জুটি। এরপর রিয়াদ থেমে যায় ৮৮ বলে ৭২ রান করে।

তার কিছুক্ষণ পর অধিনায়ক মিরাজ চলে গেলেন। ১৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপের মুখে পরে বাংলাদেশ। দলের এমন অবস্থায় লড়তে থাকেন সাব্বির। ৪১ বলে ৬ চারে ৪০ রানের ইনিংস খেলে তিনিও আউট হলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হয় সফরকারীরা।

শেষ দিকে নাঈম হাসানের অপরাজিত ১৭ ও মোস্তাফিজের ১২ রানে ভর করে অল-আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২৪৭ রান যোগ করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।