অবশেষে জয়ের দেখা পেলো খুলনা
খেলা ডেস্ক
🕐 ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ রানের টার্গেট কঠিন কিছু নয়। কিন্তু এই টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয় রাজশাহী কিংস। ১০৩ রানেই সবাইকে ফিরতে হয় সাজঘরে। মূলত বোলারদের দাপুটে বোলিংয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেলো খুলনা টাইটান্স।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স।
জয়ের জন্য ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। জবাবে জুনায়েদ খান, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ’র দাপুটে বোলিংয়ে ১ বল বাকি থাকতেই ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী কিংস।
রাজশাহীর ইনিংস ওপেন করেন মুমিনুল হক এবং লরি ইভান্স। আজ আর ওপেনিংয়ে নামেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু প্রথম ওভারেই খুলনার পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানের বলে উইকেট হারান ইভান্স। ৩ বলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।
এরপর মাঠে নামেন মিরাজ। প্রথম বলেই জুনায়েদ খানকে ছক্কা মেরে বুঝিয়ে দেন, আজও হয়তো খুলনার কপালে খারাপি আছে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে যে সহযোগিতা প্রয়োজন সেটাই পেলেন না তিনি। ১১ বল খেলে মাত্র ৭ রান করে বিদায় নিলেন মুমিনুল হক। তাতেই হয়তো বা মন ভেঙেছে মিরাজের।
যে কারণে ১৬ বলে ২৩ রান করার পর তাইজুল ইসলামের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মিরাজ। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। সৌম্য সরকারের ওপর আশা রাখাটাই যেন এখন বোকামি। ৪ বল খেললেন। মাত্র ২ রান করে বিদায় নিলেন তিনি।
পরের ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন মুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে। নেদারল্যান্ডসের তারকা রায়ান টেন ডেসকান ১৩ বলে ১৩ রান করে বিদায় নিলেন। তরুণ-উদীয়মান ব্যাটসম্যান জাকির হাসান খেললেন ১২ বল। ৭ রান করে তিনিও আউট।
দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার মাঠে নেমে যেন টেস্ট খেললেন। ২৪ বলে তিনি স্কোর বোর্ডে যোগ করেন কেবল ১৫ রান। শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা ১৪ বল খেলে তোলেন ৬ রান। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন; তারা কেউই’ই জেনুইন ব্যাটসম্যান নন।
আরাফাত সানি ১৫ এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি করেন ১৩ রান। খুলনার স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ বোলার। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিলেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন ৩টি। ৩ উইকেট নেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানও। তবে তিনি ৩.৫ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ২৬টি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ৪ ওভার বল করে ১টি মেডেন নেন। রান দিয়েছেন ১২টি। উইকেট নিয়েছেন ২টি। আরেক পেসার ডেভিড ওয়াইজ ৩ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তাইজুল ইসলামই।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স। সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন খুলনার অলরাউন্ডার আরিফুল ইসলাম। ডেভিড মালান করেন ১৫ রান এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী করেন ১৪ রান। জহুরুল ইসলাম অমি করেন ১৩ রান। ডেভিড ওয়াইজের ব্যাট থেকেও আসে ১৩ রান। রাজশাহীর ইসুরু উদানা এবং আরাফাত সানি নেন ২টি করে উইকেট।