ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুশফিকের নৈপূ্ণ্যে চিটাগংয়ের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯

রোবরারই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। আর প্রথম ম্যাচেই টর্নেডো চালিয়েছেন্যেপ্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংসের বোলারদের উপর। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে দলকে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দেয়।

বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে চিটাগংয়ের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। ওপেনার আফগানি মোহাম্মদ শেহজাদ ব্যাটে রীতিমত ঝড় তুললেন। তবে তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা ক্যামেরন ডেলপোর্ট তেমন হাত খোলার সুযোগ পাননি। ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে ১১ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

মাত্র ৬ রান যোগ হতেই ফেরেন ইয়াসির আলীও। ৮ বলে ৪ রান করা ইয়াসিরকে বোল্ড করে ফেরান পেরেরা। তার পরপরই ফেরেন ওপেনার শেহজাদ। হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থেকে পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির বলে লিয়াম ডসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

অধিনায়ক মুশফিককে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন নাজিবুল্লা জারদান। কিন্তু ১৫ বলে ১৩ রান করে মেহেদি হাসানের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রাখা মুশফিককে বেশ কিছু সময় সঙ্গ দিয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

অপর প্রান্তে মুশফিক এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ইনিংসের ৭ বল বাকী থাকতেই ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৪১ বলে ৭৫ রান করে ফেরেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার মার।

শেষ পর্যন্ত ফ্রাইলিংকের ছক্কার মারে জয় পায় চিটাগং। ১৮৪ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই বল বাকি রেখেই ৪ উইকেটের জয় পায় মুশফিকের দল।

কুমিল্লার হয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। একটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান, শহীদ আফ্রিদি ও থিসারা পেরেরা।

এর আগে টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
কুমিল্লার ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মোটেই ভালো হয়নি। দলীয় শূন্য ও ব্যক্তিগত শূন্য রানে রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে মাঠ ছাড়েন দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আর ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরেন তিন নম্বরে নামা আনামুল হক। আবু জায়েদের শিকার হন তিনি।

এখান থেকে দলকে পথ দেখান এভিন লুইস ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু ইমরুল ২১ বলে ২৪ রানে খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হলে আবারও বিপদে পড়ে কুমিল্লা। এরপর বোল্ড করে লিয়াম ডসনকেও মাঠ ছাড়া করান খালেদ। মাঝে ৩৪ বলে ৩৮ করা লুইস চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।

সুবিধে করতে পারেননি শহীদ আফ্রিদিও। ব্যক্তিগত দুই রানে সেই খালেদের বলেই হিট উইকেট হন তিনি। কিন্তু এরপরের গল্পটা এক কথায় পেরেরাময়। আজই দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে কি দুর্দান্ত ব্যাটিংটাই না করলেন তিনি। মাত্র ২০ বলে ফিফটি তুলে শেষ পর্যন্ত ৭৪ রানের দানবীয় এক ইনিংস উপহার দেন। তার ইনিংসটি ছিল মাত্র ২৬ বলের। ছিল ৩টি চার ও ৮টি বিশাল ছক্কা। এর মধ্যে ১৯তম ওভারে ফ্রাইলিঙ্ককে পিটিয়ে একাই তুলে নেন ৩০ রান।

দারুণ খেলেন সাইফও। ১৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিক।

 
Electronic Paper