অবশেষে নেইমারকে পাচ্ছে ব্রাজিল
ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
সুখবরটা নিজেই দিয়েছিলেন নেইমার। পরশু রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দুটি ছবি দিয়ে এক পোস্টে। একটা ছবিতে বল পায়ে তিনি, পেছনে আবছা দেখা যাচ্ছে কোচ তিতেকে। একটা বলের ওপর পা রেখে নিবিষ্ট চোখে দেখছেন নেইমারকে। অন্য ছবিটাতে নেইমার দুদিকে হাত ছড়িয়ে আছেন, আকাশের দিকে তাকানো মুখে হাসি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আই ফিল ওয়েল। আই নিউ আই উড নাও।’
নেইমারের ফেসবুক পেজের ফলোয়ার প্রায় ১৯ কোটি। ১৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ লাখ রিঅ্যাকশন আর ১ লাখ ১৬ হাজার মন্তব্য তাই খুব বেশি নয়। নেইমারের ওই পোস্টই প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল, পরদিন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ফিরছেন ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা।
তারপরও ওই ‘প্রায়’ শব্দটা মুছে দিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপার ছিল। কাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই যা করে দিলেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। প্রশ্নটা করা হয়েছিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভাকে। নেইমার কি কাল খেলবেন?
‘ইয়েস’ বলে উত্তরটা দিয়ে দিলেন তিতে। পরে আরেকটু বিস্তারিত বলার সময় অবশ্য একটু ফাঁক রাখলেন। সন্ধ্যার ট্রেনিং সেশনে নেইমারকে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তা যে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা, পরের কথাবার্তায় অবশ্য তা মোটামুটি পরিষ্কার।
আরও নিশ্চিত হতে নেইমারকে নিয়ে আরও কয়েকটি প্রশ্ন হলো। তার একটি এ রকম—নকআউট পর্বের ম্যাচ। খেলা অতিরিক্ত সময়ে যেতে পারে। তাহলে ১২০ মিনিট। পারবেন নেইমার? এরপর যদি পেনাল্টি শুটআউট হয়, সেখানেও তো তাঁকে লাগবে। নেইমারকে কি তাহলে শুরু থেকে খেলানোটা ঠিক হবে?
তিতে কোনো ধোঁয়াশা রাখলেন না। জানিয়ে দিলেন, ‘আমি শুরু থেকেই সেরা দল নামাতে চাই।’ সেই সেরা দল না নামিয়ে শেষ গ্রুপ ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হেরে বসেছে ব্রাজিল। যে পরাজয় বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ব্রাজিলের অপরাজেয় জয়যাত্রা ১৭ ম্যাচেই থামিয়ে দিয়েছে বটে, তবে বড় কোনো তাৎপর্য নিয়ে দেখা দেয়নি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিলই।
তাতে কি, যত গুরুত্বহীন ম্যাচই হোক, ব্রাজিল হারবে কেন? তা-ও আবার ক্যামেরুনের কাছে! এ নিয়ে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে যথারীতি তোলপাড়। যেটির রেশ টের পাওয়া গেল ব্রাজিলের সংবাদ সম্মেলনেও।
থিয়াগো সিলভা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেন, বৃহত্তর স্বার্থে একটা ঝুঁকি নেওয়া হয়েছিল। তা ঠিকই ছিল। হেরে গেলেও ব্রাজিলের প্রায় নতুন দলটা তো মোটেই খারাপ খেলেনি।
একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে জিততেও পারত। তা ছাড়া এই হারে কিছু আসে যাচ্ছেও না। গ্রুপে কী হয়েছিল না হয়েছিল, নকআউট পর্বে তার কোনো মূল্য আছে নাকি!
কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকেরা তা শুনলে তো! ক্যামেরুনের বিপক্ষে পরাজয় নিয়ে প্রশ্ন হতেই থাকল। হয়তো তা থামাতেই এর একটা ইতিবাচক দিকও সবাইকে ধরিয়ে দিতে চাইলেন থিয়াগো সিলভা। ওই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়ে ব্রাজিলের প্রথম পছন্দের একাদশের সবাই এখন খুব তরতাজা। দক্ষিণ কোরিয়া যেখানে ব্রাজিলের চেয়ে অনেক বেশি ক্লান্ত থাকবে।