জোড়া সেঞ্চুরিতে সহজ জয় জিম্বাবুয়ের
রাহুল রাজ
🕐 ৯:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৫, ২০২২
জিম্বাবুয়ে যখন জয় তুলে মাঠ ছাড়ছে খেলার তখনও বাকি ১০ বল। রাজার অপরাজিত ১৩৫ রান আর ছক্কা হাকিয়ে জয় তুলে বাংলাদেশর চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্বাগতিকেরা দেখাতে চেয়েছে উন্নতির মাপ কাঠিতে বাংলাদেশ পেছালেও তারা ঠিক এগিয়েছে। বাংলাদেশ যখন ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল তখন জয়ের পথটা যতটা দূরে মনে হচ্ছিল জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে সহজেই সে পথ পাড়ি দেয় আফ্রিকার সিংহরা। শুরুতেই উইকেট হারালে কি ভাবে ঘুরে দাড়াতে হয় তা এই ম্যাচের জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং থেকে শিখতেই পারে বাংলাদেশ।
কাগজে কলমে বাঘ হলেও মাঠের লড়ায়ে বিড়ালে পরিনত হয়েছে তামিমের পুরো দল। দলীয় ৬ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারালেও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। তাদের এই জুটিতেই জয় নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। ইনোসেন্ট কাইয়া ১১০ রানের আউট হলেও সিকান্দার রাজার ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় উপহার দেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে টানা ১৯ ম্যাচে হারের পরে অবশেষে জয়ের দেখা পেল লড়াকু জিম্বাবুয়ে।
এর আগে হারাতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম আর তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা এনামুল হক বিজয়ের ফিফটিতে ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। শুরুতে লিটনের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম। ৪৯ বলেই করেন ৪০ রান। তবে এরপর ফিফটি ছুঁতে এবং পরের ১০ রান করতে খেলেন আরও ৩০ বল। ফিফটি ছোঁয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৮০০০ রানের মাইলফলক গড়েন তামিম। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে তামিম স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে আট হাজার রানের মাইলফলক।
মাইলফলক স্পর্শ করার পর ৯ চারে ব্যক্তিগত ৬২ রানের মাথায় সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তামিমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন আনামুল হক বিজয়। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর আবার ওয়ানডে ফরম্যাটে মাঠে নামেন বিজয়।
লিটনের সঙ্গে দারুণ ছয় ওভারের মধ্যে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন বিজয়। এরমধ্যে অবশ্য লিটন ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁয়ে শতকের পথে ছুটতে থাকেন। ৭৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া লিটন পরের ১৪ বলে তোলেন ৩১ রান। ৮৯ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৮১ রান করে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
লিটন ফিরলেও চারে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দারুণ গতিতে ছুটতে থাকেন বিজয়। ৯৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে ৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া বিজয় ৬২ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৩ রান করে ভিক্টর নিউইচির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। অভিষিক্ত এই জিম্বাবুইয়ানের এটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম উইকেট।
বিজয় ফিরলেও টাইগারদের রানের গতি সচল রাখেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরমধ্যে মুশফিকও ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৫২ এবং মাহমুদউল্লাহ ২০ রান করে টাইগারদের তিন শ রানের কৌটা পার করেন।
প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর পর ইনোসেন্ট কাইয়া ক্রিজে আসেন। দলের বিপর্যয় সামলে উলটো ছড়ি ঘোরান বাংলাদেশের বোলারদের উপর। দলকে দেখাচ্ছেন জয়ের স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচেই পেয়ে গেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। ১১৫ বলে শতকের দেখা পান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ম্যাচ সেরা সিকান্দার রাজা। আজ একি মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার নামবে দুদল