নজরকাড়া রামুর মন্দির
কফিল উদ্দিন রামু (কক্সবাজার)
🕐 ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৩, ২০২১
সৌন্দর্য যেন রানী করে রেখেছে কক্সবাজারের রামুকে। পর্যটন স্পটও তাই জায়গায় জায়গায়। এখানের মন্দিরগুলো শিল্পসম্মত। নজরকাড়ে তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকের। বৌদ্ধ পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ রামুতে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহাসিক অসংখ্য নিদর্শন। এর পাশাপাশি ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভয়াল রাতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে নতুন রূপে সেজেছে রামুর মন্দিরগুলো। সৌন্দর্যপিপাসুরা তাই ছুটে আসেন রামুতে।
উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়চূড়ায় এসে পর্যটকদের দাঁড়াতেই হয়। ১০০ ফুট লম্বা গৌতম বুদ্ধের সিংহশয্যা মূর্তি দেখে থমকে যান তারা। অনেকের দাবি, এটি এশিয়ায় দৈর্ঘ্যরে দিক থেকে সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি। এর দুই কিলোমিটার দূরে অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীতে নতুন করে নির্মিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সীমাবিহার। কিছুটা দক্ষিণে নজরকাড়া লালচিং ও সাদাচিং বৌদ্ধবিহার। আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট-বড় বৌদ্ধবিহার। রামকোট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার চৌমুহনী স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে, রাজারকুল এলাকায় পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত। যেখানে বৌদ্ধ পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ রামুতে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন।
রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবু সুমথ বড়ুয়া জানান, আমাদের রামু এখন মিনি থাইল্যান্ড, বর্তমান সরকারের সঠিক পরিচালনায় রামুর সব দিকে গতানুগতিক পরিবর্তন এসেছে। রামুতে নানা মন্দিরসহ বেশ কিছু পর্যটন স্পট হওয়াতে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবু প্রণয় চাকমা জানান, দেশে ঐতিহ্যমণ্ডিত অন্যতম ভূমি রামু। এখানে রয়েছে শতবর্ষীয় বিভিন্ন পর্যটন স্পট। যা দূর-দুরান্তের পর্যটকদের নজর কাড়ে। তা ছাড়াও রামুর এ বৌদ্ধ ঐতিহ্য অতীতকাল থেকে গৌরবময় সাক্ষ্য বহন করে আসছে। এখানকার বৌদ্ধবিহার ও প্রত্বতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিদর্শনে সারা বছর দেশি-বিদেশি পর্যটকের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। আর পর্যটননগরী হওয়ায় পর্যটকদের কাছে এগুলোর আকর্ষণ অনেক বেশি।