ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিমুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
🕐 ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১

শিমুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে

বছর ঘুরে প্রকৃতি তার নানা পরিবর্তন পেরিয়ে আবার সেজেছে নতুন রূপে। ফাগুনের আগুনে মানুষের মন আর প্রকৃতিতে লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। বসন্তের রঙ্গ ও রূপে নিজেকে সাজাতে প্রকৃতি এখন মেতে উঠেছে। প্রকৃতি ধারণ করছে রূপলাবণ্যে ভরা মনোহর পরিবেশ। অপরূপ সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয় শাহ আব্দুল করিমের সেই গানের লাইনটি- ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে.. সই গো, বসন্ত বাতাসে।’ ফুলের এমন হাতছানি দিচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন কাজলা মহাসড়কের পাশের দুটি শিমুল গাছ। শহরাঞ্চলে শিমুল গাছের সংখ্যা কমে গেছে। তবে গ্রামঞ্চলে শিমুল গাছগুলো এখন সেজেছে বাহারি রঙের ফুলে। অনেকে আবার ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে মিমুল গাছ।

কাজলা গ্রামের বাসিন্দা আবু হেনা বলেন, প্রতিবছর এ সময় রাবির অসংখ্য গাছে ফোটে শিমুল ফুল। তবে এ দুটি গাছ মহাসড়কের পাশে থাকায় পুরো কাজলা ও অক্ট্রয় মোড়ের বাসিন্দাদের মুগ্ধ করে ফুটে থাকা শিমুল ফুলে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ রুমেল হাসান খোলা কাগজকে বলেন, বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। বসন্ত আসে প্রকৃতিকে রঙিন করতে। আর শিমুল ফুল ছাড়া বসন্ত যেন একেবারেই বেমানান। বসন্ত নিয়ে যত কাব্য রচিত হয়েছে তার অধিকাংশতেই শিমুল ফুলের কথা উঠে এসেছে।

রাবি সাবেক শিক্ষার্থী রাসিক ২৮নং কাউন্সিলর মো. আশরাফুল হাসান বাচ্চু বলেন, কাজলার মোড়ে আমার বাড়ি ও অফিস। বাড়ি থেকে বেরিয়েই দৃষ্টি আটকায় মোড়ের পাশে ফুটে থাকা শিমুল ফুলে। মনে হয় শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিবেশের সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চার একটি যোগ সূত্র রয়েছে। গান কবিতা নাটকে বাংলার প্রকৃতি উঠে আসে বারবার। ঠিক সেভাবে বসন্ত এলেই চলে আসে শিমুলের কথা। রাজশাহীর গাছে গাছে এখন ফুটেছে শিমুল ফুল। আমাদের ঋতু বৈচিত্র্যের এসব সৌন্দর্য ধরে রাখতে রক্ষা করতে হবে শিমুল গাছ। মূল্য কম বলে জ্বালানি করার জন্য বিলীন করা যাবে না শিমুল গাছ। সেই সঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্য এ দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের।

 
Electronic Paper