ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রযুক্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কারিগর

শহর থেকে গ্রামের মানুষও সুবিধা ভোগ করছেন

বাতিঘর ডেস্ক
🕐 ২:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯

প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম বিবেচ্য হতে হবে প্রকল্পটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কতটা সহায়ক। দ্বিতীয়ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে তা জনগণের কতটা উপকারে আসবে।’ সজীব ওয়াজেদের পরামর্শ ও নির্দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সারা দেশে ২৮টি হাইটেক/আইটি পার্ক নির্মাণ ও স্টার্ট আপ কালচার গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে।

সরকার আগেই ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল আইসিটি নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ (বাংলা গভনেট) ও ইনফোসরকার-২ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমানে ইনফোসরকার-৩ প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এর লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নকে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির আওতায় এনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটানো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইনফোসরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় ২৬০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে দেশের ১২০০ ইউনিয়ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় এসেছে। দুর্গম এলাকার বাকি ৭৭২টি ইউনিয়নকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাম বাংলায় ই-কমার্সের সম্প্রসারণ, দেশের সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে মিনি বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান লক্ষ্য।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। ওই বছর ১০ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্কটির উদ্বোধন করেন। দেশি-বিদেশি ৪৪টি প্রতিষ্ঠান এ পার্কে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির আংশিক নির্মিত স্থানে দেশি ও বিদেশি ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে (২০১৯ সালের মে পর্যন্ত) দুই ধাপে ৭২ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৩১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা)।

সবগুলো হাইটেক/আইটি পার্কসমূহের নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রায় ২৯ লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস বরাদ্দ প্রদান করা যাবে এবং এর মাধ্যমে সম্ভাব্য ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিলে ২৮টি আইটি/হাইটেক পার্ক চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সে জন্য বজা ও গভীর সমুদ্র বন্দরের কাছাকাছি স্থানে ন্যূনতম ১০০০ একর জমির ওপর হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper