স্বপ্নের বাতিঘর
নুরুন্নবী বাবু
🕐 ১:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮
স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধে-সংগ্রামে সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। লাল সবুজের এ পতাকা তার হাত ধরে আমাদের হয়েছে। আজ ১৬ কোটি মানুষের আশা ও উন্নয়নের প্রতীক হয়ে সামনে আছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ পিতার মৃত্যুঞ্জয়ী কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশ মাটি ও মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই রাষ্ট্রনায়ক অসম্ভবকে উড়িয়ে দিয়েছেন নিজের সাহস ও মেধা দিয়ে। তিনি দেশ-বিদেশের কুচক্রীদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে দৃশ্যমান করেছেন। এবার সব সমালোচকদের মুখে চুনকালি দিয়ে পদ্মার বুকে জেগে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেতু, কেউ তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। উন্নয়নের প্রবক্তা জনমানুষের আস্থা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে তিনি এ অসাধ্যকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
বৃহত্তর এ প্রকল্প ঘিরে হিংসা ও ঈর্ষা থেকে মিথ্যাচার, সমালোচনা কম হয়নি। এখনো তা থেমে নেই। কিন্তু মাথা নত করতে না জানা বাঙালির যোগ্য নেত্রী সব কিছুকে উপেক্ষা করে সেতুর কাজ শুরু করেছিলেন। কারও কাছে হাত না পেতে, কোনো ঋণ ছাড়ায় উন্নয়নশীল দেশে এ জাতীয় প্রকল্প নজিরবিহীন। মনের জোর ও জনগণের ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরে শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্নকে ছাড়িয়ে গেছেন।
নদীকেন্দ্রিক সভ্যতার বিকশিত রূপ আজকের শহর। নদীকে ঘিরেই আদি যুগ থেকে গড়ে উঠেছে সভ্যতা, মানুষের কর্মসংস্থান। পাল্টে গেছে জীবন-জীবিকা। যোগাযোগের উৎকর্ষে নদী পারাপারের আগের বাহুগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গতিশীল অনেক মাধ্যম। তবে এপার-ওপারের সংযোগে সেতুই সহজ ও অন্যতম। পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিত এ সেতু শুধু মানুষের যোগাযোগেরই মাধ্যম নয়, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও আমাদের আত্মসম্মানেরও মাইলফলক।
পদ্মা সেতু আজ সারা দেশের মানুষের কাছে প্রধান উৎসুকের বিষয়। আমাদের আশা-ভরসা ও স্বপ্নপূরণের এ অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উদাহরণ হবে। আমাদের উন্নয়ন ও সাহসের দিকপাল হয়ে পদ্মা সেতু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228