সাজা হয়েছে আত্মস্বীকৃত খুনীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০
বাংলাদেশের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয়।
জাতির জনকের সঙ্গে সেদিন হত্যা করা হয় তার সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজি জামালকে। ধানমন্ডি ৩২ রঞ্জিত হয়েছিল আরও কয়েকজনের রক্তে।
এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি দীর্ঘদিন, বলা যায় বিচার করাই হয়নি, ইনডেমনিটি আইন করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের জুনে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
এরপর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথে বাধা অপসারণ করা হয় ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। এর আগে একই বছরের ২ অক্টোবর ১৯৭৫ সালের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় লালবাগ থানায় এফআরআই করেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী এএফএম মোহিতুল ইসলাম।
১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে। ওই বছরের ১২ মার্চ থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক বিচার। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর এ মামলার রায় হয়।
বিচারক কাজী গোলাম রসুল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৫জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন, তাদেরকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে হত্যার আদেশ দেওয়া হয়। এরপর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স আসে হাইকোর্টে।
২০০০ সালে হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ এ হত্যা মামলায় দ্বিধা বিভক্ত রায় দেন। বিচারপতি এম রুহুল আমিন নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ১০জনের সাজা বহাল রাখেন, আর বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডই বহাল রাখেন। (এরপর ৮ পৃষ্ঠায়)
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228