ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইতিহাস ঐতিহ্যের চুয়াডাঙ্গা

আট কবর

আরিফুল ইসলাম
🕐 ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০

আট কবর চুয়াডাঙ্গার জগন্নাথপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। আরও একটু স্পষ্ট করে বলতে গেলে রাজাকার কুবাদ খাঁর মায়াবী প্রতারণার ফাঁদ হচ্ছে এই আট কবর। ৩ আগস্ট ১৯৭১।

কমান্ডার হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার জপুর ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। ৪ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা এ ক্যাম্পে কুবাদ খাঁ নামের এক পাক দালালকে ধরে আনেন। ৫ আগস্ট সকালে কুবাদ খাঁর দুজন লোক ক্যাম্পে এসে গুজব খবর দেয়- রাজাকাররা গ্রামের পাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

খবর শুনে কমান্ডার হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছুটে যান জপুর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাগোয়ান গ্রামে। তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হতে থাকেন। তখন নাটুদা ক্যাম্পের পাকিস্তানি সৈন্যরা ইউকাটিং অ্যাম্বুস করে মুক্তিযোদ্ধাদের আটকে ফেলে। ফলে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সৈন্যদের একটি সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

এ যুদ্ধেই শহীদ হন আট মুক্তিযোদ্ধা। পরে স্থানীয় জগন্নাথপুর গ্রামের মানুষ শহীদ এ যোদ্ধাদের দুটি গর্তে গণকবর দেন। মুক্তিযুদ্ধের এ সমাধি সৌধটি স্থানীয়দের কাছে জগন্নাথপুরের আট কবর হিসেবে পরিচিত।

আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণ হচ্ছেন- হাসান জামান, খালেদ সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাউল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামুদ্দিন ও আফাজ উদ্দিন। চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এ আট কবর (সমাধিস্থল)। ০.৬৬ একর জমির ওপর ১৯৯৮ সালে এ আট কবর কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়।

সমাধি ছাড়াও এখানে আছে- উন্মুক্ত মঞ্চ ও একটি দোতলা ভবন। এ ভবনের দেয়াল জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের ২০০টি আলোকচিত্র।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper