ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাবনা

আবদুল জব্বার
🕐 ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৮, ২০২০

মানসিক হাসপাতাল
পাবনা মানসিক হাসপাতাল (Manoshik Hospital/National Institute of Mental Health and Hospital) মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, অসুস্থ অথবা আহতকে ঔষধ ও শল্যচিকিৎসা এবং যথাযথ সেবাশুশ্রূষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ এর একমাত্র মানসিক হাসপাতাল। পাবনা মানসিক হাসপাতালে সরকার অনুমোদিত একটি জনকল্যাণ সংস্থা রয়েছে। রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর তাদের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর খরচ এই সংস্থা বহন করে। জীবন রক্ষাকারী ঔষধপত্রও এই সংস্থা সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সক্ষম রোগীদের চাকুরি বা কাজের ব্যবস্থাও এই সংস্থাটিই করে।

১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাবনা জেলার সিভিল সার্জন একটি জমিদার বাড়িতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৯ সালে জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে হেমায়েতপুরে ১১২.২৫ একরের একটি চত্বরে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬০, যা পরবর্তীকালে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০-তে দাঁড়ায়। পরে ১৯৬৬ সালে আরও ২০০ শয্যা যুক্ত হয়। মোট শয্যার ২৮০টি নন-পেয়িং এবং ১২০টি পেয়িং।

 

দুবলিয়া মেলা
শতবর্ষী দুবলিয়া মেলা (উঁনষরধ গবষধ) আবহমান বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য ও সব শ্রেণির মানুষের এক অকৃত্রিম মেলবন্ধন। ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে পাবনাকে যেমন করেছে সমৃদ্ধ তেমনি দুবলিয়াবাসীকে করেছে গর্বিত। পাবনা শহর থেকে ১৫/ ১৬ কি.মি. পূবে অবস্থিত দুবলিয়া কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগযোগ ও শিক্ষায় এক সময়ের পশ্চাদপদ ছিল। এখন এ এলাকাতে সত্যিকারের পূবের হাওয়া লেগেছে।

সে দিনের সেই অজো পাড়া- গাঁ যেখানে বলতে গেলে প্রাথমিক শিক্ষার সুব্যবস্থা ছিল না সেখানে আমরা হাইস্কুল, নারী শিক্ষার প্রসারে গার্লস হাইস্কুল আর উচ্চ শিক্ষার দিগন্ত খুলে দিতে ডিগ্রি কলেজ করেছি। অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। শিক্ষার ছোঁয়া লেগেছে এখানকার কৃষি ব্যবস্থাতেও। আর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে তা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করছে। দুবলিয়া আজ অচেনা অখ্যাত, অনুন্নত নয় বরং গোটা জেলায় এক নামে পরিচিত। আর দুবলিয়ার এমন উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে অতীতের মত ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে চাই।

অধ্যক্ষ বিশ্বাস দুবলিয়া মেলা যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এর বনেদী ঐতিহ্য বজায় থাকে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেন। তিনি বলেন এ এলাকার গৌরব ধরে রাখতে হলে এ এলাকার প্রতিটি মানুষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন মেলার দর্শনার্থীরা যেন মেলায় সুন্দর পরিবেশে কেনাকাটা করতে পারে সেদিকে তিনি সবাইকে আন্তুরিক হতে অনুরোধ করেন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper