ক্ষণজন্মা আনিসুল হক
আলতাফ হোসেন
🕐 ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
ঢাকা উত্তরের সফল মেয়র ছিলেন আনিসুল হক। পাশাপাশি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বও তিনি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী একজন পরিচ্ছন্ন ও আদর্শিক মানুষ। আধুনিক, পরিশ্রমী, মানবিক, সর্বশেষ হন জনপ্রতিনিধি। ছিলেন সার্থক ও সৃজনশীল উপস্থাপক। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সিনিয়র প্রতিবেদক আলতাফ হোসেন
আনিসুল হকের যত উদ্যোগ
২০১৫ সালে ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকা উত্তরের জন্য সাহসী কিছু পদক্ষেপ নেন আনিসুল হক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ, গাবতলীসহ নয়টি জায়গাকে পার্কিংমুক্ত করা। বনানীতে মোনয়েম খানের বাড়ির ভেতরে থাকা ডিএনসিসির জায়গা উদ্ধার। বিমানবন্দর সড়কের যানজট কমাতে ১১টি ইউটার্ন নির্মাণ, ঢাকাকে সবুজ করতে পাঁচ লাখ গাছ লাগানো, রাস্তায় এলইডি বাতি লাগানো, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন, ১০০ আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ, গুপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে এক বা একাধিক কোম্পানির অধীন চার হাজার বাস নামানো এবং গাবতলীতে উদ্ধার করা ৫২ একর জায়গা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ একাধিক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা
ঢাকা মহানগর উত্তরের সফল মেয়র ছিলেন আনিসুল হক। পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী এবং সফল মিডিয়া ব্যক্তিত্বও ছিলেন এ মানুষটি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী একজন পরিচ্ছন্ন ও আদর্শিক মানুষ ছিলেন আনিসুল হক। আধুনিক, পরিশ্রমী, মানবিক, সর্বশেষ তিনি হন জনপ্রতিনিধি। ছিলেন সার্থক ও সৃজনশীল উপস্থাপক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনিসুল হকের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা নতুন প্রজন্মকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। দল-মতের ঊর্ধ্বে তার সংগ্রামীগাথা প্রেরণা জুগিয়েছে তরুণ প্রজন্মকে, উদ্বেলিত করেছে প্রবীণদেরও।
আনিসুল হক ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র নির্বাচিত হন। রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ‘স্মার্ট’ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত হন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি ঢাকা শহর থেকে সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন।
জনদুর্ভোগ কমাতে আনিসুল হক শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহনের সড়ক দখলমুক্ত করে গতিময় করে তোলেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালের সামনের সড়ক দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ চালকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। কিন্তু তাদের অন্যায় আবদার আর হীন দখলদারিত্বের কাছেও তিনি পিছু হটেননি।
অযত্ন-অবহেলায় রাজধানীর বেশিরভাগ পার্কের অবস্থাই বেহাল। বিভিন্ন এলাকার পার্ক দখলদারদের কাছে চলে যায়। আনিসুল হক একের পর এক সেসব পার্ক দখলমুক্ত করেন। এছাড়া শহরের পথচারীদের জন্য আধুনিক টয়লেটও নির্মাণ করেন তিনি। এজন্য একজন আনিসুল হককে ঘিরে আস্থার জায়গা তৈরি হয়।
গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় বিশেষ রঙের রিকশা এবং ‘ঢাকা চাকা’ নামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সেবা চালু করেন আনিসুল হক। বিমানবন্দর সড়কে যানজট কমাতে মহাখালী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ইউলুপ করার উদ্যোগ নেন তিনিই।
ঢাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পাল্টে দেওয়ার জন্য ‘সবুজ ঢাকা’ নামের বিশেষ সবুজায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন আনিসুল হক। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সমস্যায় দিনে-রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নগরবাসীর আস্থাভাজন হয়েছেন তিনি। কিন্তু তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সব যেন আগের চিত্রে ফিরতে থাকে। দখল হতে থাকে উদ্ধার হওয়া সব জায়গা।
বেড়ে ওঠা
আনিসুল হকের জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। শৈশবের বেশ কিছু সময় কাটে তার নানাবাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
ব্যবসায়ী
আনিসুল হক আশির দশকে তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৬ সালে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মোহাম্মদী গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রুপটির তৈরি পোশাক, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন, কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা রয়েছে। ২০০৭ অনুসারে, বস্ত্র ও পোশাক খাতে গ্রুপটি প্রায় ৭০০০ জনের কর্মসংস্থান তৈরি করে। আনিসুল হক ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল এই সময়ে বিজিএমই-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিআইপিপিএরও সভাপতি ছিলেন।
পরিবার
আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক। তিনি মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের তিন সন্তান, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে তানিশা ফারিয়ামান এবং ওয়ামিক উমাইরা। ছেলে নাভিদুল হক বোস্টনের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে মোহাম্মদী গ্রুপের পরিচালক ও দেশ এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
উপস্থাপক থেকে রাজনীতিতে
আশি থেকে নব্বই দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। তার উপস্থাপনায় ‘আনন্দমেলা’ ও ‘অন্তরালে’ অনুষ্ঠান দুটি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনও করেছিলেন তিনি। সব কিছু ছাপিয়ে রাজনীতির মাঠে আসেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো ঢাকা সিটি (উত্তর ও দক্ষিণ) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসেন তিনি। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পান। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘আমি সরকারি দলের প্রার্থী নই, দলীয় প্রার্থী নই। কিন্তু, তারা আমাকে সমর্থন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন রয়েছে- এটাই আমার শক্তি।’ নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে আনিসুল রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ‘স্মার্ট’ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন আনিসুল। দায়িত্ব পালনকালে নগরীর উন্নয়নে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেন। উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যেমন আলোচিত হয়েছেন। তেমনি মশা মারা নিয়ে ‘অতি কথনে’ সামলোচনার মুখে পড়েন তিনি।
অসময়ে চলে যাওয়া
২০১৭ সালের ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তখন তার মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ ধরা পড়ে। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অবস্থার উন্নতি ঘটলে ৩১ অক্টোবর তাকে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। ২৮ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হলে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে আবার তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় ও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ২ ডিসেম্বর ২০১৭ আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজার পর তাকে বনানী কবরস্থানে ছোট ছেলে শারাফ ও মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
চার হাজার বাস
ঢাকা শহরের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে চার হাজার বাস নামানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন আনিসুল হক। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আনিসুল হক পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকও করেন।
উদ্ধার করা জায়গা
স্বাধীনতাবিরোধী মোনয়েম খানের পরিবারের অবৈধ দখল থেকে ১৪ কাঠা জমি উদ্ধার করেছিল ডিএনসিসি। পাশের কবরস্থানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ওই জায়গায় এটা পার্কের নকশা করা হয়েছিল।
গাবতলীর জায়গা দখলমুক্ত
গাবতলীতে অবৈধ দখলে থাকা ৫২ একর জমি গত বছর উদ্ধার করে ডিএনসিসি। এখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্ল্যান্ট, মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, বাস, ট্রাক ডিপোসহ কিছু স্থাপনা করার পরিকল্পনা ছিল।
এ ছাড়া নির্বাচনের আগে ‘সমস্যা চিহ্নিত, সমাধান যাত্রা’ নামে একটি নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করেন তিনি। সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ, নিরাপদ, স্মার্ট, আলোকিত ও মানবিক ঢাকা গড়ে তোলার অভিযাত্রা শুরু করেন আনিসুল হক।
আনিসুল হকের সময়ে রাজধানীতে ২টি চলন্ত সিঁড়িসহ ৫৫টি ফুটওভার ব্রিজ, ২টি আন্ডারপাস, পর্যাপ্তসংখ্যক জেব্রা ক্রসিং, ১০টি উন্নতমানের আধুনিক পাবলিক টয়লেট, রায়ের বাজারে ৫২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ দশমিক ২৩ একর জমিতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কবরস্থান স্থাপন, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গাবতলীর গৈদারটেক এলাকায় ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়।
এ ছাড়াও ডিজিটাল নগরী গড়তে ‘নগর’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নগরবাসীর পরামর্শ ও অভিযোগ সরাসরি মেয়র দেখতে পান। করপোরেশনের পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি এবং করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করা হয়।
১০০ গণশৌচাগার
রাজধানীতে গণশৌচাগারের তীব্র সংকট থেকে উত্তরণে মেয়র ১০০টি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
এলইডি বাতি ও সিসি ক্যামেরা
রাস্তায় প্রয়োজনীয় আলো ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে এলইডি বাতি ও সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রকল্প নিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র। ৪৪২ কোটির প্রকল্পটি অনুমোদনও পায় একনেকে।
ইউটার্ন প্রকল্প
ঢাকা শহরের যানজট কমাতে মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে সাতরাস্তা থেকে উত্তরা পর্যন্ত ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান।
সবুজ ঢাকা
ঘন বসতির শহর ঢাকায় সবুজের সমারোহ ফিরিয়ে আনতে পাঁচ লাখ গাছের চারা বিতরণের কর্মসূচি শুরু করে ডিএনসিসি। ২০১৬ সালের মে মাসে উত্তরায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সবুজ ঢাকা’ নামের এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন আনিসুল হক। পরের তিন বছরে পাঁচ লাখ গাছ রোপণের পরিকল্পনা ছিল ডিএনসিসির। সবুজ ঢাকা গড়তে গাছের গাড়ি চালুর মতো উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
পার্ক ও খেলার মাঠ
দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, তার পরবর্তী কাজ পার্ক ও খেলার মাঠগুলোর উন্নয়ন করা। উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়নের জন্য প্রায় ২৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। এর ছিল আওতায় ২২টি পার্ক ও ৪টি খেলার মাঠ এবং ডিএনসিসি এলাকার গণশৌচাগার, স্বাস্থ্যসম্মত জবাইখানা ও কবরস্থানের উন্নয়ন।
তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সরানো
তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনের সড়কটি দখলমুক্ত করে সাড়া জাগিয়েছিলেন আনিসুল হক। ইদানীং সড়কের ভূমি ও জরিপ অধিদফতরের সামনের সড়কজুড়ে আবার ট্রাক রাখা হচ্ছে। ডিএনসিসির আরও আটটি এলাকা পার্কিংমুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে গাবতলী, কল্যাণপুর, আমিনবাজার, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড অন্যতম। এসব জায়গায়ও অবৈধ পার্কিং ফিরে আসছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228