ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বগুড়া

মহাস্থানগড়

টিএম মামুন
🕐 ৩:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ বগুড়া। প্রাচীন পুণ্ডরাজ্যের রাজধানী পুণ্ডবর্ধন হচ্ছে বর্তমান বগুড়া। বগুড়া জেলা প্রাচীন শহর হওয়ায় এ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অতীত, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যার মধ্যে মহাস্থানগড়, মানকালীর কুণ্ড, ভাসু বিহার, গোকুল মেধ, গোবিন্দ ভিটা পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের এ জেলাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করেছেন টিএম মামুন

মহাস্থানগড় (Mahasthangarh) বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। প্রাচীন পুণ্ড্রনগরীতে প্রায় ৪০০০ বছর পুরাতন স্থাপনা রয়েছে। মাউর‌্যা এবং গুপ্ত রাজারা মহাস্থানগড়কে প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে পাল রাজা পুণ্ড্রনগর বা মহাস্থানগরকে মূল রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রাচীন পুণ্ড্রনগরীর ধংসস্তূপ দেখতে চাইলে যেতে হবে বগুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পশ্চিমপ্রান্তে।

রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, মালদাহ, রাজশাহী অর্থাৎ বরেন্দ্র অঞ্চল পুণ্ড্রদের আদি বসবাসের স্থান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৬৯৩ সালে বিখ্যাত চীনা ভ্রমণকারী ওযান চুন বৌদ্ধ স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য পুণ্ড্রনগর তথা মহাস্থানগর আসেন। তার বর্ণনা মতে, তৎকালীন সময়ে ছয় মাইল আয়তনের পুণ্ড্রনগরী একটি সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল, যা অনেকটা ব্যবলিওন, এথেন্স, মিসরের কাঠামোর মতো। মুসলিম শাসনামলে ধীরে ধীরে পুণ্ড্রনগরী মহাস্থানগড়ে পরিণত হয়। ১৮০৮ সালে ‘বুচানন হামিল্টন’ সর্বপ্রথম মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৩১ সালে মহাস্থানগড়কে প্রাচীন পুণ্ড্রনগরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper