ইতিহাস ঐতিহ্যের নীলফামারী
ডালিয়ায় পর্যটনের হাতছানি
মোশাররফ হোসেন
🕐 ৩:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ দেশের সবচেয়ে বড় একটি সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্প ঘিরে তিস্তার পাড়ে সারা বছর বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে আসেন। ঈদ কিংবা পূজা নয়, উৎসব ছাড়াও বছরের প্রতিটি দিনই ভিড় জমে এখানে। স্থানীয়রা মনে করেন ব্যারেজকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র।
ব্যারেজ এলাকায় আসা ভ্রমণপিপাসু লোকজন জানান, ব্যারেজে সবুজ অরণ্যের নয়নাভিরাম দৃশ্য মন কাড়ার মতো। ব্যারেজের সবুজ অরণ্যে পাখিদের মিষ্টি কলরব আর কোলাহলমুক্ত পরিবেশ মানুষকে টানে। তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য উঁচু কন্ট্রোল টাওয়ার, সুইচ খালের পানি থেকে বালি সরানোর সিলট্রাপ, নদীর ডান তীর বাঁধের নির্মিত স্পার, সবুজের হাতছানি, শিহরণ জাগানিয়া বাতাস যেন নৈসর্গিক। সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতায় সুসজ্জিত ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ।
ব্যারেজ নির্মাণের পরই হাজার মানুষের মন জয় করে নিয়েছে তিস্তা পাড়। দিনে দিনে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ জায়গাটি। দিনাজপুরের রানিরবন্দর এলাকা থেকে আসা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এত সুন্দর জায়গা তাই বার বার ছুটে আসি। কিন্তু টয়লেট, পানি ও ছাউনিসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় আমার মতো অন্য মানুষদেরও।’
বেড়াতে আসা এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবসর নামের ‘বালাখানা’ রয়েছে এখানে। ব্যারেজে একটি আন্তর্জাতিক মানের লজ ছাড়াও ডালিয়া ও দোয়ানীতে রয়েছে আলাদা দুটি বাংলো। ‘সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র’ হতে পারে উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, ‘এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে এলাকার অসংখ্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ তৈরি হবে। তিস্তা পাড় ও চরাঞ্চলের কর্মহীন মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থানও হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, ব্যারেজ এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। তিনি বলেন, ‘দ্রুত আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228