ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হিরণ্ময় ঐতিহ্যের ঠাকুরগাঁও

হাসান বাপ্পি
🕐 ১:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৯

ইতিহাস-ঐতিহ্যের তীর্থভূমি ঠাকুরগাঁও। পূর্ব-পুরুষদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সম্ভ্রান্ততার কারণেই এ জেলাকে সম্মানের চোখে দেখে অন্যরা। প্রাচীন ঐতিহ্যের এ জনপদে রয়েছে গর্ব করার মতো স্থাপনা। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে এখানকার মাটি পরম মমতায় ধারণ করে আছে শত বছরের সভ্যতা। জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ জেলাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন জেলা প্রতিনিধি হাসান বাপ্পি

সংস্কৃতি
আমাদের যুগ-যুগান্তরের চিন্তাধারা ও কর্মধারার প্রতিচ্ছবিই আমাদের সংস্কৃতি। আর এ সংস্কৃতির মধ্যেই রয়েছে আমাদের প্রাণের স্পন্দন। প্রাগৈতিহাসিক কাল হতে এ জেলার সংস্কৃতির জন্ম। প্রাচীন লোকজ সংস্কৃতির রূপান্তরের মধ্য দিয়ে পল্লী সংস্কৃতির অফুরন্ত প্রাণের পথচলার জেলা ঠাকুরগাঁও।

এ জেলার লোকজ সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে ধামের গান, কুয়ালি গান, সত্য পীরের গান। এ ছাড়াও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উরাওসহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারাম নৃত্য উল্লেখযোগ্য। জেলার আদিবাসী পুরুষদের বন্য পশু ও পাখি শিকার এবং মহিলাদের চাষাবাদ ও মাছ শিকার যেন তাদের সংস্কৃতিরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।


নামকরণ
হিরন্ময় ঐতিহ্যের এক জনপদ দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। টাঙ্গন, শুক ও সেনুয়া বিধৌত এই জনপদের একটি সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবারের উদ্যোগে ব্রিটিশ শাসনামলে বর্তমান পৌরসভা এলাকার কাছাকাছি স্থানে একটি থানা স্থাপিত হয়। আর ওই ঠাকুর পরিবারের নাম অনুসারে থানাটির নাম হয় ঠাকুরগাঁও বা ঠাকুরগ্রাম থানা। ১৭৯৩ সালে ঠাকুরগ্রাম অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৬০ সালে এটি মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হয়। এর অধীনে ৬টি থানা ছিল, এগুলো হলো-ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর ও আটোয়ারী।
১৯৪৭ সালে এই ছয়টি থানা এবং ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার তিনটি থানা ও কোচবিহারের একটি থানা (পঞ্চগড়, বোদা, তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ) নিয়ে ১০টি থানার মহকুমা হিসেবে ঠাকুরগাঁও নুতনভাবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৮১ সালে আটোয়ারী, পঞ্চগড়, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া নিয়ে পঞ্চগড় নামে আলাদা মহকুমা সৃষ্টি হলে ঠাকুরগাঁও মহকুমার ভৌগোলিক সীমানা পাঁচটি থানায় সংকুচিত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর নিয়ে ঠাকুরগাঁও মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়।


মিলনমেলা
১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর এদেশের অনেক আত্মীয়স্বজন ভারতীয় অংশে এবং ভারতীয়দের অনেক আত্মীয়স্বজন এদেশের সীমানায় পড়ে। কাঁটাতারের বেড়া থাকার ফলে অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

এ কারণে তারা উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অলিখিত সম্মতিতে প্রতি বছর এই সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান। এ কারণেই বছরের বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে দুর্গাপূজা ও কালীপূজার সময়ে এবং পহেলা বৈশাখের সময়ে দুই বাংলার মানুষদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মিলনমেলা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper