পাথরে জীবিকা
বিশেষ আয়োজন ডেস্ক
🕐 ২:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
ওপাশটা ভারতীয় কাটাঁতারে ঘেরা, এ পাশটা বাংলাদেশ। দু’দেশের সীমানার উপর দিয়েই মহানন্দার চলাফেরা। হিমালয়ে কোলঘেঁষা মহানন্দার পানি বেশ ঠাণ্ডা। তবুও থেমে নেই মহানন্দা পাড়ের মানুষের কর্মব্যস্ততা। এর মধ্যেও বাতাসে ফুলানো গাড়ির চাকার টিউবের ভেলায় পাথর তোলেন শ্রমিকরা। নদী থেকে দল বেঁধে পাথর তোলা। নদীর বুকে কর্মব্যস্ত মানুষগুলো মহানন্দারই সন্তান, তাদের বলা হয় পাথর শ্রমিক।
নদীতে নেমে পাথর শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেল তাদের জীবন যাপন ও মহানন্দার গল্প।
তারা জানান, এককালে অভাব-অনটন ছিল এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। এখন আর সে অবস্থা নেই, পাল্টেছে জীবনের দৃশ্যপট। মহানন্দার পাথর তুলে যে আয় হয় তা দিয়েই ঘুরে তাদের জীবনের চাকা।
কেউ পাথর তুলছেন। আবার কেউ নদীরঘাট থেকে সে পাথর কিনে এনে মেশিনের কাছে দিচ্ছেন। কেউবা মেশিন চালিয়ে রোজগার করছেন, আবার কেউ ট্রাকে পাথর লোড-আনলোড করছেন। অনেকে আবার কারবারিদের কাছে পাথর সরবরাহ করছেন। এই করেই চলছে দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ তেতুঁলিয়ার মানুষের জীবন।
জানা গেল, দিন দিন পাথরের চাহিদা বাড়ায় এলাকায় এখন আর কাজের অভাব হয় না। পাথরজীবীরা এখন পেটভরে তিন বেলা খেয়ে ভবিষ্যতের জন্যও খানিকটা জমাতে পারেন। ভারত থেকে বয়ে আসা মহানন্দা নদীর পাথর এই অঞ্চলের মানুষকে বিনা পুঁজিতে আয় করার সুযোগ তৈরি করেছে, হাজার হাজার পরিবারে এনে দিয়েছে কর্মসংস্থান এবং স্বচ্ছলতা। গাড়ির চাকার টিউবের ভেলা থেকে উপরে পাথর তুলে আনছেন এক শ্রমিক আর তাইতো মহানন্দার পাথরই তাদের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন এখন।
মহানন্দা নদী নিয়ে কথা হয় পঞ্চগড় মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার মহালিদ্রাম পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে পশ্চিবঙ্গের উত্তরাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলা হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে নদীটি। বাংলাদেশে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে শুরু করে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার দু’দেশের সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মহানন্দা। মূলত এই অংশটুকুর মধ্যেই পাথর উত্তোলন করা হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228