ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইকবাল বাহার, স্বপ্ন বুননের বাতিঘর

বাতিঘর ডেস্ক
🕐 ১:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

ইকবাল বাহার। একজন উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মেন্টর, ইন্সপিরেশানাল স্পিকার, নিউজ প্রেজেন্টার ও বিজনেস প্রোগ্রাম অ্যাংকর। তিনি চার্টার্ড আকাউনটেন্সি (ইন্টার), এম কম ও এমবিএ করেন। ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরি দিয়ে তার কর্ম জীবন শুরু। চাকরি জীবনেও অত্যন্ত সফল ইকবাল বাহার খুব অল্প বয়সে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার হন।

সময়টা ২০০৩ সাল। নিজে কিছু করার আশায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে অপটিম্যাক্স কমিউনিকেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলাদিন কিডস ডট কম চালু করেন। উদ্যোক্তা হওয়ার পর বিবেকের তাড়নায় সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন।

মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির লোভনীয় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ‘চাকরি করবো না চাকরি দেব’ এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন নিজের কোম্পানিতে। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন চাকরি জীবনের শুরুতেই। উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্পটা এত সহজ ছিল না। ছিল ব্যাপক বাধা, অনিশ্চয়তা ও হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা ও ব্যাপক লেগে থাকা একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। আজ তিনি ৩টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সৃষ্টি করেছেন ২০০ মেধাবী তরুণের কর্মসংস্থান।

ইকবাল বাহারের গ্রামের বাড়ি ফেনী। গ্রামের স্কুলেই পড়ালেখা শুরু করেন। বড় চাচার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন এবং ছোটবেলা থেকেই ওনার বড় চাচা ওনার ইংলিশের ব্যাপারে যত্নশীল ছিলেন। এসএসসি পরীক্ষার পর ঢাকায় এসে তিতুমির কলেজে ভর্তি হন। তবে বিভিন্ন টানাপোড়েনের কারণে এইচএসসি পরীক্ষাতে পাস করতে ব্যর্থ হন।

এরপর চারদিক থেকে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শিরা ওনাকে নিয়ে মজা করে, টিপ্পনি কাটে। একটা সময় ওনি কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন । বাবার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার বানানোর। কিন্তু এইচএসসিতে ফলাফল এতটাই খারাপ ছিল যে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষাই দেওয়ার সুযোগ পাননি। বিকম পড়তে আবার তিতুমীর কলেজে এসে ভর্তি হন। বিকম পড়ার পাশাপাশি টিউশন শুরু করেন।

টিউশনির অল্প অল্প করে জমানো টাকাই ছিল ওনার জীবনের ব্যবসার প্রথম মূলধন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর মামার পরামর্শে সিএ পড়তে যান। সিএ পড়ার পাশাপাশি একটি ফার্মে চাকরিতে জয়েন করেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রথম জীবনের এ ব্যর্থতাগুলোকেই ওনি ক্যরিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper