ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোর কুমার দাশ

অভুক্তদের বাতিঘর

বাতিঘর ডেস্ক
🕐 ১২:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশের জন্ম নারায়ণগঞ্জে। বাবার চাকরি সূত্রে ছেলেবেলা কাটে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে। বাবা-মা ও পাঁচ ভাইবোনের দারুণ একটি পারিবারিক বলয়ে বড় হয়েছেন কিশোর কুমার দাশ। ভাইবোনরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষা লাভ করে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। তিনি নিজে পড়াশোনা করেছেন চুয়েটে। বর্তমানে কিশোর কুমার দাশ পেরুর রাজধানী লিমায় একটি বড় কোম্পানিতে চাকরি করছেন।

চট্টগ্রামে বড় হওয়ার সুবাদে ছোটবেলায় দেখেছেন হাজারো মানুষের জন্য মেজবানের আয়োজন। ধর্মীয় উপাসনালয়ে দেখেছেন ভেদাভেদ ভুলে এক লাইনে দাঁড়িয়ে অন্ন গ্রহণের আত্মিক প্রশান্তি।

তখনই মনে বাসনা জাগে, সুযোগ এলে ক্ষুধার্ত মানুষকে পেটপুরে খাবার খাওয়ার আনন্দ দানের। কিশোর কুমার দাশের এই পরিকল্পনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আজকের বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। পড়াশোনা শেষে চাকরি শুরু করার পর একটু একটু করে স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। প্রথমে নিজের উদ্যোগে, পরবর্তীতে ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব ও স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

কিশোর কুমার দাশ মনে করেন, সমাজের চোখে যারা অসহায়, নিম্ন কাজে লিপ্ত, চুরি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত তাদের সুপথে আনার দায়িত্ব সমাজের সবার। আমি একা বিরাট এই সংখ্যাকে কিছুই করতে পারব না। তবে সবাই একটু একটু করে এগিয়ে এলে বড় ধরনের কাজ করা সম্ভব। আমাদের দেশকে বদলে স্বাবলম্বী করা সম্ভব। তাই সামর্থ্যবানদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

আমি আমার কাজ দিয়ে অন্যদের উৎসাহ দিতে পারি। বিরাট এই কাজের ছোট্ট অংশীদার হতে পারি। তাদের পরিচালনায় দুটি এতিমখানা আছে। সেখানে এতিম বাচ্চাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ধরনের কাজ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কিশোর কুমার কৃতজ্ঞ উদ্যোগী স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে।

তিনি বলেন, এমন একটি অলাভজনক কাজেও যে এত মানুষ যুক্ত হতে আগ্রহী, তা আমার জানা ছিল না। অসংখ্য ছেলেমেয়ে নিজেদের কাজের পাশাপাশি সময় দিচ্ছেন। বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না, বিতরণ সবই ধৈর্যসহকারে পরিচালনা করছেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় আমাদের তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম অটুট। তারাও ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী। আর তা সম্ভব হলে আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জন্য প্রতিদিন এত সময় দিতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যক্তিজীবনে আয় উপার্জনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে কি-না জানতে চাইলে ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা জানান, এখানে যারা কাজ করছেন, তাদের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় নিজ নিজ অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত কি-না। এই কাজের জন্য দেওয়া সময় যেন তাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যাঘাত না ঘটায় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়।

তিনি আরও জানান, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কিছু বেতনভুক্ত কর্মী আছেন, তারাও অর্ধেক মূল্য গ্রহণ করেন। যারা বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন তাদের অধিকাংশই কর্মজীবনের শেষ পর্যায়ে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper