ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গাজীপুর আওয়ামী লীগে বিভাজন

তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৯

সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর গাজীপুর আওয়ামী লীগের তৃণমূলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জেলায় বিএনপি শূন্য রাজনীতির মাঠ আওয়ামী লীগের দখলেই ছিল। তবে উপজেলা নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় নৌকার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল দলটির বিদ্রোহীরা। এতে দলটির তৃণমূলে বিভাজন সৃষ্টি হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চাইছেন দলটির নেতাকর্মীরাও।

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্রীপুরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড.সামসুল আলম প্রধান। নৌকা প্রতীকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। আব্দুল জলিল গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলীর অনুসারী। অন্যদিকে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সবুজের অনুসারী। উপজেলায় নির্বাচনী মৌসুমে দলটির নেতাকর্মীরা দুই পক্ষে ভাগ হলে সম্পর্কটা সাপে-নেউলে পরিণত হয়।

আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে তাকে নির্বাচনে হারানো হয়েছে। তার নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি দিয়ে নির্বাচনের মাঠছাড়া করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের পর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাট্টা রাখার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি।’

অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীপুর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান জানান, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আব্দুল জলিলকে উপজেলাবাসী ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে।

অন্যদিকে একই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ অনুসারী হারুন অর রশিদ। গত ২৪ মার্চ রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে তিনি জানান, ‘দমদমা কেন্দ্রে স্থানীয় সাংসদ ভোট দিয়ে যাওয়ার পর কিছু লোকজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মোটরসাইকেল প্রতীক, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালা এবং কলস প্রতীকে দীর্ঘক্ষণ সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলে।

অপরদিকে, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, গাজীপুর যুবমহিলা লীগের আহ্বায়ক শর্মিলী দাস ২৬ মার্চ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন, নৌকার সম্মান রক্ষার্থে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেওয়া বন্ধ হোক। এতে অপাত্রে নৌকাদানের সংখ্যা অনেক হ্রাস হবে। এর আগে ভোটের দিন ২৪ মার্চ তিনি নির্বাচন বর্জন ও পুনরায় ভোটের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন।

এদিকে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেছেন। অপকৌশলে নির্বাচনে তাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। ভোটের পর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পক্ষে থাকা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং হামলা হচ্ছে।’

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper