কমলগঞ্জে আ.লীগের ভয় বিভক্তি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে জমে ওঠেছে প্রচারণা। এ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের থাকলেও এবারের নির্বাচনে দলটির বড় ভয় বিভক্তি আর বিরোধ। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াতে দলের ভোট ব্যাংক ভাগ হয়ে গেছে। যার ফলে চা বাগান অধ্যূষিত এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমান। তার বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও ভোটের মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আব্দুল আহাদ মিনার।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের কমলগঞ্জের রাজনীতিতে গ্রুপিং রয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে রফিকুর রহমান ও সংসদ সদস্যের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু দল রফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল। এ অবস্থায় ছয়বারের সাংসদ আব্দুস শহীদের বলয়ে দলীয় ভোট ব্যাংকের একটা অংশ তার ভাই ইমতিয়াজ আহমদের পক্ষে চলে যায়। তাদের বিভক্তির কারণে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আব্দুল আহাদ মিনার। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় ঝিমিয়ে পড়া ভোটারদের বিকল্প প্রতীক হাতুড়ি মার্কায় ভোট দিতে উদ্বুুদ্ধ করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন চা শ্রুমিকরা। তাদের নিয়ে গণসংযোগ ও পথসভা করছেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী বিরোধী ভোটাররা তার বহরে শামিল হচ্ছেন।
আব্দুল আহাদ মিনার বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের। এ উপজেলায় প্রায় অর্ধেক ভোটার চা শ্রমিক। তাদের ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু তাদের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি। এবার সেসব ভোটার হাতুড়ি প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় সব সময় নৌকা প্রতীকে মানুষ ভোট দিয়েছেন। আমাকেও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং দলের যে অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং রয়েছে তা নোংরামি হলেও আমার জয় আটকানো যাবে না। আওয়ামী লীগে প্রার্থী থাকার পর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিয়ে ভোট চাইলে মানুষ তা মানবে না। আসল আর নকল মানুষ ঠিকই চিনে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল বলেন, বিগত নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জন্য কাজ করেছি। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হয়ে উপজেলাবাসীর জন্য কিছুই করতে পারেননি। তার প্রতি মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। আমার ভাই সংসদ সদস্য থাকায় মানুষের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করেছি। এবার আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীসহ সর্বস্তরের ভোটররা আমার পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
এ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিক আলী, রামভজন কৈরী, শাব্বির এলাহি ও আং মুয়ীন ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228