ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মনুষ্যবাহী চীনা নভোযানের যাত্রা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
🕐 ২:২১ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

মনুষ্যবাহী চীনা নভোযানের যাত্রা

নতুন মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নভোচারী নিয়ে চীনা নভোযান যাত্রা করেছে।

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমির জিকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে দ্য লং মার্চ টুএফ রকেটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

দেশটির তৈরি নতুন মহাকাশ কেন্দ্র তিয়াংগংয়ে এটি তাদের প্রথম মনুষ্যবাহী দীর্ঘ মিশন।

চীনের মহাকাশ সংস্থা এ খবর জানায়।

উৎক্ষেপণের ১০ মিনিটের মধ্যেই কক্ষপথে পৌঁছে মহাকাশ যানটি রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র সিসিটিভি মহাকাশযানের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে।

জিকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের পরিচালক ঝাং জিফেন বলেন, ‘বেইজিং এরোস্পেস কন্ট্রোল সেন্টারের ভাষ্যমতে দ্য লং মার্চ টুএফ রকেটটি সফলভাবে মনুষ্যবাহী শেনঝু-১২ মহাকাশ যানটিকে তৈরি থাকা কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পেরেছে। এখন এটিকে আমরা সফল মিশন হিসেবে ঘোষণা দিতে পারি।’

এদিকে উৎক্ষেপণের ঠিক আগ মুহূর্তে স্পেস স্যুট পরা তিন নভোচারী সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি চীনের দীর্ঘমেয়াদি মনুষ্য মিশন। ক্রুরা স্টেশনে তিন মাস অবস্থান করবেন। মহাকাশ কেন্দ্রে তাদের প্রত্যেকের থাকার আলাদা মডিউল রয়েছে। তবে বাথরুম, ডাইনিং, ডাউনিং এরিয়া ও যোগাযোগ কেন্দ্র ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হবে।

নেই হেইশিংয়ের নেতৃত্বে মিশনটি পরিচালিত হচ্ছে। আরো দুটি মহাকাশ ফ্লাইট মিশনে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে। তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন এয়ারফোর্স পাইলট। অন্যরা চীনা সামরিক বাহিনীর সদস্য।

তাদের শেনঝু-১২ নভোযানটি তিয়াংগং মহাকাশ কেন্দ্রের মূল অংশে গিয়ে ভিড়বে, যার নাম তিহানহি। এটি ২৯ এপ্রিল মহাকাশে স্থাপন করা হয়।

আগামী এক থেকে দেড় বছরে চীন মহাকাশে আরো ১১টি মিশন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের তৈরি মহাকাশ কেন্দ্রটিতে সোলার প্যানেল ও দুটি ল্যাবরেটরি মডিউল স্থাপনা করার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, ইউরোপ ও জাপানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস) চীনের ব্যবহারে বাধা দেয় ওয়াশিংটন। এতে ক্ষুব্ধ চীন নিজেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালে শেষ হয়ে যাবে। তবে নাসা বলছে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত একে ব্যবহার করা যাবে।

আইএসএসের চেয়ে অনেক ছোট তিয়াংগং আগামী ১০ বছর তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

 
Electronic Paper