ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২১ সম্পর্কে এই আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। সেটা হচ্ছে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ এই প্ল্যাটফর্মে একদিকে যেমন মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ওয়ালেটগুলো একটার সঙ্গে আরেকটি কোম্পানির অপারেট হবে। এখন যেমন আমরা গ্রামীণফোন থেকে রবিতে কিংবা বাংলালিংক থেকে টেলিটক এ ফোন করতে পারি। কিন্তু আমরা বিকাশ থেকে নগদে কিংবা শিওর ক্যাশে টাকা পাঠাতে পারি না। সেটা সম্ভব হবে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

পলক বলেন, আমরা আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যে প্লাটফর্মটি মাননীয় সজীব ওয়াজেদ জয় উদ্বোধন করবেন। তখন মোবাইল গ্রাহকদের স্বাধীনতা বাড়বে এবং খরচের পরিমাণ কমে আসবে।

তিনি বলেন, দেশে ব্লক চেইন বাস্তবায়ন হলে কোথাও কোনো তথ্য কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, সার্টিফিকেট এর বাইরে যখন ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশন হয় তখন মিউটেশন নিয়ে একটা বিরাট প্রবলেম ছিল। একজনের জমি আরেকজনের নামে রেকর্ড হয়ে গেছে। আরেকজনের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। এই ধরনের আর কোনো প্রতারণা আমরা হতে দিতে চাই না। এখানেও আমরা ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করতে চাই। এতে কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারবে না।

আর্থিক লেনদেনে ব্লক চেইন কীভাবে কাজ করবে তার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে থাকে। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠায়। যে মাধ্যমে টাকাটা আসে তার জন্য অনেক বেশি পয়সা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু যদি আমরা ব্লকচেইন ব্যবহার করি তাহলে মধ্যস্বত্বভোগীকে আমরা এই প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পারব। অর্থাৎ বিশ্বের অন্যদেশ থেকে বাংলাদেশে যার কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন- এই দুটি অংশের সরাসরি সংযোগ করে দেয়া সম্ভব। নিরাপদ একটি সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যয় বহুগুণ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ চলছে, ফাইনান্স মিনিস্টার কাজ করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২১| ৩ দিন ব্যাপী এ অলিম্পিয়াড ২৫-২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে। দেশে দ্বিতীয় বারের মত এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দ্বিতীয় আসরে সারা দেশের ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫৬টি দল আবেদন করেছে। ব্লকচেইন প্রকল্পের গুণগত মান বিবেচনায় চূড়ান্ত পর্বে ৪০টি দলকে মনোনীত করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত ১২টি দল আগামী জুলাই মাসে ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের জাতীয় ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের তিন দিনে ব্লকচেইন বিষয়ক ৪টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দেশি ও বিদেশি ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, অন্যান্যরা অংশ নিবেন। সশরীরে অংশ নেয়া ছাড়াও অনলাইনে অলিস্পিয়াডে অংশ নেয়া যাবে।