ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ফাতেমা

রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ফাতেমা

লেখাপড়া করে অভাবী পরিবারকে সফল করবে মনে ছিল সেই বাসনা। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়েছে ফাতেমা খন্দকার ন্যান্সির। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের পশ্চিম আমবাড়ী এলাকার এনামুল হক টিপুর স্ত্রী। তার স্বামী একটি কীটনাশক কোম্পানিতে চাকরি করেন। বিয়ের পর স্বামীর সংসার তেমন স্বচ্ছল ছিল না। তাই স্বামীর পাশাপাশি নিজেকে সাবলম্বী করতে পরিকল্পনা হাতে নেন।

প্রথমে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহযোগিতায় পার্লার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে রেলের পরিত্যক্ত একটি বাসায় নিজের সঞ্চয়কৃত পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে পার্লার ব্যবসা শুরু করেন। একে একে যখন ব্যবসায় ও কাজের প্রসার লাভ করতে শুরু করে তখন পার্শ্ববর্তী চার্চ অব গড স্কুল এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নেন। সেই ঘরে পার্লার গড়ে তুলেন।

বছর পার হওয়ার পর পার্লারের পাশাপাশি বেকার নারীদের নিয়ে বিনামূল্য সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্লক-বুটিক ও বিভিন্ন হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দিতেন। এভাবে কাজের পরিধি বৃদ্ধি হলে তিনি শহরের হারিভাঙ্গা এলাকায় নিজেই একটি বুটিক কারখানা ও মিশন মোড় চার্চ অব গড স্কুলের সামনে একটি পার্লার খুলেন। বুটিক কারখানায় বিভিন্ন কাপড়ে ডিজাইনের কাজ করে রাজধানী শহরে বাজারজাত করছেন। সেখানে শতাধিক বেকার নারী কাজ করে তাদের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করেছেন।

এছাড়াও তিনি নিজের বাসায় কেঁচো কম্পোস্ট জৈব সার তৈরি করে বাজারজাত করতে আরও একটি কারখানা করেছেন। এখন তার তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার মত উপার্জন করেন।

এভাবে ফাতেমা নিজেকে একজন সফল নারী হিসেবে জেলা ও উপজেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর জয়িতার সন্মাননা ও সনদপত্র তার হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

ফাতেমা খন্দকার ন্যান্সি জানান, তাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত করায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহযোগিতায় জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমকে অভিনন্দন জানাই।

 
Electronic Paper