ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লেখক রমা চৌধুরী

রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮

রমা চৌধুরী লিখেছেন সাহিত্যের প্রায় সব শাখায়-সমালোচনা সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক স্মৃতিকথা, গল্প, উপন্যাস, লোক-সংস্কৃতিবিষয়ক গ্রন্থ, প্রবন্ধ এবং ছড়া। স্মৃতিকথামূলক ২টি বই লিখেছেন। একটি ‘সেই সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। অন্যটি ‘স্মৃতির বেদনা অশ্রু ঝরায়’। এ ছাড়াও ‘একাত্তরের জননী’, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথামূলক উপন্যাস। ১৯৬১ সালে রমা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক উত্তালক্ষণে তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছেন। এমনও বলা হয়ে থাকে, তিনিই চট্টগ্রামের প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর নারী। কাজেই তার এই স্মৃতিকথার একটা ঐতিহাসিক-সামাজিক মূল্য আছে।

রমা চৌধুরীর কবিতার বই দুটি-‘স্বর্গে আমি যাব না’ ও ‘শহীদের জিজ্ঞাসা’। প্রকাশিত হয়েছে মাধুকরী থেকে। সামগ্রিক কবিতায় আমরা প্রতিবাদী রমা চৌধুরীর পাশাপাশি মানবিক ও প্রেমময়ী নারী রমা চৌধুরীকে পাই। তিনি তার কবিকণ্ঠে দ্রোহ এঁটে স্পষ্টভাষায় নারীর অধিকার অর্জনের কথা বলেছেন। ‘মেয়েদের মা হওয়ার সুযোগ দাও’ শীর্ষক গদ্যে তিনি বলেছেন, বন্ধ্যা নারী যেমন আছে, বন্ধ্যা পুরুষও তেমন আছে। বন্ধ্যা নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে সন্তানের বাবা হতে পারছে। কিন্তু বন্ধ্যা স্বামী-স্ত্রীর জন্য সেই স্বাধীনতা কেন থাকবে না? ‘পুত্রার্থে ক্রিয়তে বর্ত্তা’-এ নীতির প্রচলন কবে হবে? ‘আমি পাশ-বালিশ হতে আসিনি’ কবিতায় রমা লিখেছেন, ‘হে পুরুষ!/আমি তোমার পাশ-বালিশ/হতে দুনিয়ায় আসিনি/মাথার বালিশ হতেও না।...’ আবার তিনি পৃথিবীর প্রতি তার রোমান্টিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ‘স্বর্গে আমি যাব না’ কবিতায়-‘যাব না, ভাই, যাব না/স্বর্গে আমি যাব না/দুধের নদী, ক্ষীরের সাগর/যতই সেথা থাকুক না।...’ কি সরল-প্রেমময়ী উচ্চারণ!
নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলাদা করে গ্রন্থ লেখার পাশাপাশি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন ‘যে ছিল মাটির কাছাকাছি’ বইটি। জসীম উদ্দীনের ‘কবর’, ‘রাখালী’, ‘বালুচর’ ও ‘বেদের মেয়ে’ কাব্যগ্রন্থের আলোচনার ক্ষেত্রে তিনি তার মৌলিক চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

 
Electronic Paper