ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশ্বকাঁপানো জলবায়ুকন্যা

‘হাউ ডেয়ার ইউ!’

রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ২:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০২, ২০১৯

সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের ডাকা ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে বক্তব্য দেন গ্রেটা।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বিশাল মাত্রায় বিলুপ্তির পথে চলতে শুরু করেছি। আর আপনারা শুধু টাকা-পয়সা আর অনন্তকাল ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রূপকথার কাহিনী শুনিয়ে চলেছেন। কী সাহস আপনাদের! আমার বার্তা হচ্ছে, আমরা আপনাদের পর্যবেক্ষণ করছি। সবকিছুই ভুল। আমার তো এখানে থাকার কথা ছিল না। সমুদ্রের ওই প্রান্তে স্কুলে থাকার কথা ছিল। কিন্তু আপনারা আমাদের ছোটদের কাছে আশার কথা শুনতে এসেছেন। ফাঁকা বুলি আউড়িয়ে আপনারা আমার স্বপ্ন ও শৈশবকে চুরি করেছেন। কিন্তু ভাগ্যবতীদের মধ্যে আমি একজন।

লোকজন ভোগান্তিতে রয়েছেন, তারা মারা যাচ্ছেন, পুরো প্রাণ-প্রকৃতি ভেঙে পড়ছে। একটি ব্যাপক বিলুপ্তি শুরুর মধ্যে আমরা রয়েছি। একটি স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির রূপকথার গল্প ও অর্থ, যা নিয়ে আপনারা কথা বলতে পারেন। এত স্পর্ধা আপনারা কই পান!

আমি কতটা কাতর ও ক্ষুব্ধ, তাতে কিছু যায় আসে না। যদি আপনি পরিস্থিতি সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারেন, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তখন আপনি অশুভ হয়ে যাবেন এবং আমি তা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করব।

দীর্ঘস্থায়ী ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এড়ানোর ক্ষেত্রে পৃথিবীকে ৫০ শতাংশ সুযোগ দিতে ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমন ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আলাপ। বলা হচ্ছে, এতে দুর্যোগ এড়ানো যাবে। কিন্তু ৫০ শতাংশ ঝুঁকি শুধু আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই পরিসংখ্যানের পক্ষে কোনো পরিকল্পনা কিংবা সমাধান তুলে ধরা হয়নি।

কারণ এই সংখ্যা খুব বেশি অস্বস্তিকর হবে। কাজেই এটি যেমন, তেমন করে বলতে আপনারা এতটা পরিপক্ব হননি। আপনারা আমাদের ব্যর্থ করে দিচ্ছেন, কিন্তু ছোট্টরা আপনাদের প্রতারণা বুঝতে শুরু করেছে। সব ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের ওপর নজর রাখছে। যদি আপনারা আমাদের ব্যর্থ করে দিতে চান, তবে আমরা আপনাদের কখনো ক্ষমা করব না।

 

 
Electronic Paper