প্রেমিক প্রবর
রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০১৯
৩৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে একাধিক জনের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন হৃদয়ঘটিত সম্পর্কে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলো-
জেমস গিলবি
জেমস গিলবি ছিলেন একজন প্রপার্টি কনসাল্ট্যান্ট। ছিলেন ডায়ানার বিয়ে-পূর্ব জীবনের প্রেমিকও। প্রেমিকদের চোখ ধাঁধানো তালিকায় গিলবির স্থান ততটা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সারিতে নেই। তবু ডায়ানার প্রথমদিকের প্রেম হিসেবে গিলবির নামটি সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়।
জেমস হিউইট
মেজর জেমস হিউইট ছিলেন ব্রিটেনের পদাতিক বাহিনীর আধিকারিক। টানা পাঁচ বছর এই মেজরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ডায়ানা। ১৯৯৫ সালের বিবিসির এক প্রোগ্রামে ডায়ানা জানান যে, জেমস হিউইটের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ডায়ানার সঙ্গে হিউইটের সাক্ষাৎ হয় ১৯৮৬ সালে। ডায়ানাকে ঘোড়ায় চড়া শেখানোর জন্য মেজর হিউইটকে ডেকে আনা হয়। সুদর্শন এই মেজরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যুবরানীর।
হাসনাত খান
হাসনাত খান ছিলেন লন্ডনে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক শল্য চিকিৎসক। ১৯৯৫ সালের এক সেপ্টেম্বরে ডায়ানার সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। হাসনাত তখন সুদর্শন যুবক। সেসময় তিনি রয়েল ব্রম্পটন হাসপাতালে কর্মরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। সেদিন ডায়ানা তার এক বন্ধুর চিকিৎসারত স্বামীকে দেখতে ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বন্ধুর স্বামীর চিকিৎসক ডা. হাসনাত। এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম।
দোদি আল ফায়েদ
যুবরানী ডায়ানার শেষ প্রেম ছিল দোদি আল ফায়েদ। হাসনাত খানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় যুবরানী মিসরীয় ধনকুবের দোদির প্রেমে পড়ে যান। শুরু থেকেই দোদির সঙ্গে ডায়ানার এই সম্পর্ক নিয়ে রাজপরিবার থেকে শুরু করে ব্রিটেনের জনগণের মধ্যে মিশ্র এক প্রতিক্রিয়া ছিল। এরপর দুজনেই পড়লেন পাপারাজ্জিদের খপ্পরে। একবার এই দুইজন ছুটি কাটাতে গেলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ক্যামরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশে^র বিভিন্ন মিডিয়াতে। কিন্তু রাজকুমারীকে ঘরনী করার স্বপ্ন বাস্তবিকই অসম্পূর্ণ থেকে গেল দোদির।