ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পথ দেখানো নারী লেখক

ঔপন্যাসিক স্বর্ণকুমারী

রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

স্বর্ণকুমারী দেবী নারী জাগরণের এক উত্থানের নাম। বাঙালি নারী জাগরণের এই পতাকাবাহী অবগুণ্ঠন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তার লেখনীর ভেতর দিয়ে। ২৮ আগস্ট ১৮৫৫ সালে বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বর্ণকুমারী। তিনিই ঠাকুর পরিবারে মহিলাদের লেখনীর ধারা শুরু করেন। তাকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক লেখিকা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন তার কনিষ্ঠ ভাত্রা।

১৮৭৬ সালের ডিসেম্বর মাসে লেখকের নামহীন একটি বই প্রকাশ হয়। এই নিয়ে সবার জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। কার লেখা হতে পারে বইটি? বইটির নাম ছিল ‘দীপ নির্বাণ’।

এরপর শোনা গেল বইটি একজন নারীর লেখা, তিনি স্বর্ণকুমারী দেবী। এ নিয়ে ‘সাধারণী’ পত্রিকায় বহু আলোচনা-সমালোচনা। তখনকার যুগে মেয়েদের সাহিত্য ছিল শুধুই হাস্যকর ও তুচ্ছতার বিষয়। কিন্তু তারপরও স্বর্ণকুমারী দেবী তার আসন প্রতিভা দ্বারা পাকাপোক্ত করে নিয়েছিলেন। লেখালেখির পেছনে স্বর্ণকুমারী দেবীর স্বামী নদীয়া জেলার জমিদার জানকীনাথ ঘোষালেরও ছিল অশেষ অনুপ্রেরণা। তাই স্বর্ণকুমারী দেবী আরও এগিয়ে গিয়েছিলেন। দীপ নির্বাণে’র পর বসন্ত উৎসব, ছিন্নমুকুল, বিবাহ উৎসব, মিনাররাজ, বিদ্রোহ, ফুলের মালা, হুগলীর ইমাম বাড়া, স্নেহলতা, কুমারভীম সিংহসহ তিনি আরও লিখেছিলেন গল্প কবিতা, গাঁথা, গান, রম্য রচনা, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, স্মৃতিকথা, স্কুলপাঠ্য বই, প্রহসন, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ।

স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘কাহাকে’ উপন্যাসটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এই উপন্যাস শুধু বাঙালি সমাজে নয় বিদেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তার দুটি উপন্যাস, ১৪টি গল্প ও একটি নাটক অনূদিত হয়। ১৯১৪ সালে কাহাকে উপন্যাসের অনুবাদ ‘টু হুম’ নামে কলকাতায় প্রকাশিত হয়। ‘দিব্য কমল’ নাটকটি অনূদিত হয় জার্মান ভাষায় ‘প্রিন্সেস কল্যাণী’ নামে।

এছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোটগল্প সংকলন ও ‘শট স্টোরিজ’ নামে ইংরেজি অনুবাদ করা হয়। ১৯৩২ সালের ৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন এই মহীয়সী।

 
Electronic Paper