পথ দেখানো নারী লেখক
সংগঠক শামসুন্নাহার
রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সিন্ধু-হিন্দোল (১৯২৭) কাব্য যে ‘বাহার-নাহার’কে উৎসর্গ করেছিলেন, তিনিই শামসুন্নাহার মাহমুদ, একজন বিশিষ্ট নারী লেখকের নাম।
১৯০৮ সালে ফেনী (বৃহত্তর নোয়াখালী) জেলার গুথুমা গ্রামে তার জন্ম। পিতা মুহম্মদ নুরুল্লাহ ছিলেন মুন্সেফ। খানবাহাদুর আব্দুল আজিজ তার মাতামহ এবং হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী ছিলেন সহোদর ভাই। শিক্ষাজীবনের শুরুতে শামসুন্নাহার চট্টগ্রাম খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু সামাজিক অনুশাসনের কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
পরে নিজ চেষ্টায় তিনি প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক (১৯২৬) পাস করেন। বিএ পাস করার পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শামসুন্নাহার কিছুদিন নিখিল বঙ্গ মুসলিম মহিলা সমিতির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব উইমেন দলের নেতৃত্ব দেন এবং সমগ্র এশিয়ার জন্য এই আন্তর্জাতিক মৈত্রী সংঘের আঞ্চলিক ডিরেক্টর পদে নিয়োজিত হন। শামসুন্নাহারের প্রথম লেখা কবিতা প্রকাশিত হয় কিশোরদের আঙ্গুর নামক মাসিক পত্রিকায়। আইএ পড়ার সময় তিনি নওরোজ ও আত্মশক্তি পত্রিকার মহিলা বিভাগ সম্পাদনা করতেন।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত বুলবুল (১৯৩৩) পত্রিকা হবীবুল্লাহ বাহার ও শামসুন্নাহার যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে পুণ্যময়ী, ফুলবাগিচা, বেগম মহল, রোকেয়া জীবনী, শিশুর শিক্ষা, আমার দেখা তুরস্ক, নজরুলকে যেমন দেখেছি ইত্যাদি।