একুশের ভাষাকন্যা
হালিমা খাতুনের সংগ্রাম
রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ১২:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
হালিমা খাতুন ১৯৫১ সালে বিএ পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৩ সালে ইংরেজিতে এমএ এবং পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন।
১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্দান কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজ জীবনেই রাজনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দেশজুড়ে ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানতে পারেন। তখনই সিদ্ধান্ত নেন ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হবেন।
২১ বছর বয়সে ১৯৫১ সালে হালিমা খাতুন ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন ছাত্রীদের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম চলত। সব সময় কড়া নজরে থাকতে হতো ছাত্রীদের। ৫২-এর সেই রক্তাক্ত দিনে সবাই আমতলায় সমবেত হন। ছাত্রীদের দায়িত্ব থাকে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীদের এই আন্দোলনে শামিল করা। মুসলিম গার্লস স্কুল ও বাংলা বাজার গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের আমতলায় নিয়ে আসার দায়িত্ব পড়ে হালিমা খাতুনের ওপর।
১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার পর পরই স্লোগানে স্লোগানে কেঁপে ওঠে চারদিক। ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান চারপাশে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রথম বের হয় মেয়েদের দল। তার সদস্য থাকে চারজন।
জুলেখা, নূরী, সেতারার সঙ্গে হালিমা খাতুনও ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা এবং সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক ভাষাসৈনিক সম্মাননা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, লেখিকা সংঘ পুরস্কারসহ বিভিন্ন সময় নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।