বিমল কান্তি দের আবিষ্কার
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
অধ্যাপক বিমল কান্তি দে, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯৯ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর নেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করেন তিনি।
গবেষণা করতে গিয়ে একসময় তার হাতে আসে তারামন বিবির নামসংবলিত একটি তালিকা। বিমল কান্তি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। সরকারি গেজেট খোঁজ করে দেখলেন সেখানেও তারামন বিবির নাম আছে। কিন্তু তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।
অধ্যাপক বিমল দে তখনই নেমে পড়লেন উপাধিপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁজে বের করার মিশনে। সময়টা ১৯৮৭ সাল। অক্লান্ত চেষ্টার ফলে প্রায় ৮ বছর পর ১৯৯৫ সালে তারামন বিবিকে খুঁজে বের করে ফেলেন তিনি।
তাকে খোঁজার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন লোকের কাছে হাজার খানেক চিঠি লেখেন বিমল কান্তি।
এছাড়াও নানা চেষ্টার পর ১৯৯৫ সালের দিকে তিনি তারামন বিবির সন্ধান পান। রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম উপজেলার রাজীবপুর এলাকার অধ্যাপক সবুর ফারুকী তারামনের সন্ধান দেন। তারামন বিবির সন্ধানে তিনি সবুর ফারুকীর বাড়িতে যান। সেখানে তারামনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক বিমল কান্তি বলছেন, ‘তারামনকে আমি বললাম, তুমি বীরপ্রতীক। কিন্তু সে এই শব্দের অর্থ বুঝত না। এটা যে একটি উপাধি, সম্মান সেটা আমরা সবাই মিলে তাকে বোঝালাম।’