অন্তর্জালে নারীর সাফল্য
রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৮
অন্তর্জাল বা ইন্টারনেট জগৎ। এই জগতে বর্তমানে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিচরণ করছেন নারীরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই সামাজিক সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হচ্ছেন, সেই সঙ্গে তৈরি করে নিতে পারছেন নিজেদের কর্মক্ষেত্র।
বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান আছে নারীদের। অনলাইনে পণ্য লেনদেনে পুরুষদের তুলনায় নারীরা রয়েছেন এগিয়ে। বিশ্বজুড়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের অধিকাংশই নিয়ন্ত্রিত হয় নারীদের দ্বারা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ‘আমার দেশ আমার গ্রাম’-এর নাম। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ওয়েবসাইটভিত্তিক কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তা ছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখনকার সময়ে। এসব পণ্যের মূল ক্রেতা এ দেশের নারীরা। এমনকি এ ধরনের পেজ বা ওয়েবসাইটগুলোর অধিকাংশই নিয়ন্ত্রিত হয় নারীদের দ্বারা।
অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করা যেমনটা সহজ, তেমনই সহজ ঘরে তৈরি বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করা। অনলাইনের মাধ্যমে একই সঙ্গে পণ্যের সব গুণাগুণ ক্রেতার কাছে তুলে ধরা সম্ভব, সেই সঙ্গে সম্ভব সহজ উপায়ে পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচার কাজ চালানো। অনলাইনের মাধ্যমে কোনো লোকাল ব্র্যান্ডকে তাদের টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়াটা মার্কেটিং দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। আর বর্তমানে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এ কাজটি করে আসছেন এ দেশের মেয়েরা। তারপর ‘মায়া আপা’-এর বিস্তৃত কর্মযজ্ঞের কথা তো সবারই জানা।
তবে এই অন্তর্জাল জগৎ যে একদম প্রতিবন্ধকতাহীন; তা কিন্তু না। তার কারণ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবার মান ও সরবরাহ প্রক্রিয়া এখনো অনেকটা পিছিয়ে। ইন্টেলের একটি সমসাময়িক রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, গরিব দেশগুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীদের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ নারী অর্থ উপার্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীদের এই অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় অর্থনৈতিক সমস্যা, উন্নত প্রযুক্তির অনুপস্থিতি, অপর্যাপ্ত ইন্টারনেট সরবরাহ, অশিক্ষা, ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারী ও বিডিওএসএনে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু মোট ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও মোট আয় বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশি নারী ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। তবে অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।