ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আওয়ামী লীগেই আস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮

চলচ্চিত্র, নাট্যাঙ্গনসহ সংস্কৃতি জগতের একঝাঁক তারকা আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান নির্মাতা, নায়ক-নায়িকা ও নাট্যাভিনেতারাও রয়েছেন এ দলে। তাদের অনেকে নির্বাচনী তৎপরতাও শুরু করেছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশী এ তারকাদের অনেকে ইতোমধ্যে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দলের বিভিন্ন পদেও আসীন হয়েছেন।

এর মাঝে উল্লেখযোগ্য নাম এ টি এম শামসুজ্জামান। তিনি খ্যাতিমান চলচ্চিত্রাভিনেতা ও পরিচালক। একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি এ অভিনেতা ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় এখান থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

তিনি জানান, প্রার্থী হতে আগ্রহী হলেও বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।

এটিএম শামসুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নানাভাবে দলটিকে সমর্থন দিয়ে আসছেন এবং দলের নানা কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই মূলত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। আমি আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখি। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী একজন খ্যাত মানুষ। তিনি মানবতা বুঝেন। তারই অংশ হিসেবে মিয়ানমার থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন।

রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রাখেন এবং আমাকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেন তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আশা করি নেত্রীর দেওয়া উপহার ভিন্ন মাত্রায় ফিরিয়ে দিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি অনেক বদলে গেছে। আগের অনেক কিছুই রাজনীতিতে নেই। তবুও রাজনীতিই অনেক কিছু বদলের কেন্দ্র। তাই রাজনীতিবিমুখ হয়ে থাকা যায় না।

এ টি এম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি।
পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাইস্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজ ভর্তি হন। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল, যিনি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। চলচ্চিত্র পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার হিসেবেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন এ অভিনেতা।

পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ১৯৬১ সালে চলচ্চিত্র-জীবন শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ছবিটির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। ২০০৬ সালে ‘এবাদত’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৪ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper