ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সুনামগঞ্জ-৫

বিএনপির কান্না থামছে না!

সদরুল আমিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
🕐 ৩:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের কান্না যেন থামছে না। তাদের বাধভাঙা কান্না দেখে কাঁদলেন সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনও। এ কান্নার শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখন নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীদের মুখে মুখে।

গত শুক্রবার থেকে এখানে নেতাকর্মীদের কান্নার রোল পড়েছে। এদিন বিকালে বিএনপির গুলশান কার্যালয় থেকে বিএনপির প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হয়। এতে বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।

কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ১৯৮৮-১৯৯৬-ও ২০০১ সালে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এবারও তিনি এ আসনের প্রার্থী ছিলেন। এ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মিজানুর রহমান চৌধুরীকে। এ সংবাদটি ছাতক-দোয়ারায় ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পৌর শহরে প্রার্থী বদলের দাবিতে তাৎক্ষণিক ঝাড়ু হাতে মিছিল করে যুবদল ও ছাত্রদল। পরবর্তী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করে তারা। রাতেই ছাতক শহরের বাসায় পৌঁছেন মিলন। এসময় উপস্থিত হাজারো নেতা-কর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেতা-কর্মীদের সামাল দিতে না পেরে তিনি নিজেও কাঁদলেন। হঠাৎ করে দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন দেখে সবাই হতবাক। ছাতক-দোয়ারা নয়, সুনামগঞ্জ তথা সিলেট বিভাগের লোকজন হতবাক হয়েছেন।

কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগে বিএনপির এই কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এ বিভাগে বিএনপির একজন পরিচিত মুখ তিনি। সবাই রাজপথ কাঁপানো পরিশ্রমী নেতা হিসেবে তাকে চিনে। তার বেলায় দলের এমন আচরণ সহ্য করতে পারেনি কর্মী সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীরা। এখানে বিএনপি থেকে গণপদত্যাগেরও হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগও দিয়েছেন।

চূড়ান্ত প্রার্থিতা ঘোষণার পরদিন প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ছাতক-দোয়ারা বিএনপি। বিকালে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ছাতক জালালিয়া মাদ্রাসার কাছে এসে পৌঁছলে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন মিছিল করতে বাধা দেন। এতে কাজ না হলে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তিনি। তার এরূপ কাণ্ড দেখে হতভম্ব হয়ে যায় মিছিলকারীরা। তারা মিছিল না করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ করতে যায়। এক পর্যায় প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হন মিলন।

তিনি কন্না জড়িত কন্ঠে বক্তব্যে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিলাম। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে তাকে সিলেট নগরীর আল-হারামাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। দু’দিন হাসপাতালে থাকায় নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড ভিড় ও কান্নাকাটির কারণে ডাক্তাররা তাকে বাসায় থেকে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়।

সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বেলাল খান, মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ শত শত লোক তাকে হাসপাতালে দেখতে যান।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper