টাঙ্গাইল-৬
‘উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা আছে’
রামকৃষ্ণ সাহা রামা
🕐 ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আহসানুল ইসলাম টিটু। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। নির্বাচন নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রামকৃষ্ণ সাহা রামা।
কেন নির্বাচন করতে চান?
রাজনীতিতে প্রত্যেকের একটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে। যদি আপনি এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চান, তাদের অভাব-অভিযোগ, উন্নয়ন সম্পর্কে যদি কিছু করতে চান তাহলে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে কাজটি সহজ হয়। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নির্বাচন করতে চাই।
দলের সাংগঠনিক অবস্থা কি রকম?
সারা বাংলাদেশেই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পাশে অবস্থান নিয়েছেন।
মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী?
আওয়ামী লীগ একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে অনেকেই মনোনয়ন চাইবে। আমি বিগত দিনে এলাকায় যে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছি তাতে আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
সংসদ সদস্য হলে কি কি কাজ করবেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে প্রতিটি গ্রাম হবে এক একটি মডেল শহর। আর প্রধানমন্ত্রী যদি এ কার্যক্রমে আমাকে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেন অর্থাৎ মনোনয়ন দেন তাহলে একটা মহাপরিকল্পনা আমার মাথায় আছে। আমাদের এলাকা ঢাকা থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার রাস্তা। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে আমাদের এলাকায় কোনো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সংযোগ সড়ক যদি নাগরপুর-দেলদুয়ারের ওপর দিয়ে হয় তাহলে রাস্তা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প কারখানা। আর নাগরপুরের একদিকে ধলেশ্বরী, অন্যদিকে যমুনা নদী। কিন্তু নাব্য কমে যাওয়ায় আগের সেই নদীভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা নেই। নব্য যদি আমরা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে শিল্প কারখানা গড়ে উঠা সম্ভব।
নির্বাচন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এ আসনে নৌকাকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। কর্মীদের সুসংগঠিত করে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করেছি। নির্বাচনে বিজয়ী হতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি।
শেষ কথা হিসেবে কি বলতে চান?
গত ২৫ বছর দেশের বিভিন্ন আর্থিক খাতের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম। আশা করি, আমার এ অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে যদি সংসদে যেতে পারি তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারব এবং সেটার সমাধানের জন্য কথা বলতে পারব। বিশেষ করে কর্মসংস্থানের যে অভিজ্ঞতা আছে সেটা আমি আমার এলাকায় কাজে লাগাতে পারব।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228