বগুড়া-৪
বিএনপির দুর্গ দখল চায় আওয়ামী লীগ
আব্দুর রহিম, বগুড়া
🕐 ৩:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে কাহালু-নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত। এক সময়ে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৪ আসনে নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। আর সেই কারণেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি নিজেদের করে নিতে মাঠে নেমেছেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন। তার নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে এ দুই উপজেলায় সাংগঠনিকভাবে দল যেমন শক্তিশালী তেমনি ভোটাররাও এখন আগ্রহী হয়েছে নৌকার প্রতি।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মমতাজ উদ্দিন দীর্ঘ সময় ধরে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তিনি। সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী মমতাজ উদ্দিন বগুড়া সদরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৭৪ হাজার ৭০০ ভোট পেয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাকে কাহালু-নন্দীগ্রাম থেকে মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরে মহাজোটের কারণে জাপাকে ছেড়ে দিলে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
ওই আসনে জাপার দুর্বল প্রার্থী থাকা এবং ভোটারদের কম উপস্থিতির জন্য সহজেই জাসদ প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হন। তবে এবারের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। বর্তমান এমপির দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন নেই বললেই চলে। সাংগঠনিকভাবেও জাসদ বা জাতীয় পার্টির অবস্থা ভালো নয়। আর বিএনপি ভোটে এলে এখানে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের শক্তিশালী প্রার্থী প্রয়োজন বলে মনে করেন নেতাকর্মীসহ সচেতন মহল।
মমতাজ উদ্দিনের নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখার নির্বাচন, উন্নয়নের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দিবে।’ নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, মমতাজ উদ্দিনের কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উজ্জিবীত।
গোটা উপজেলায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। তিনি প্রার্থী হলে এ আসনে নৌকার জয় নিশ্চিত।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন জানান, তিনি বিগত নির্বাচনে এখানে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে জোটের স্বার্থে শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তিনি মনে করেন বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবার মানেই আওয়ামী লীগ। তাইতো ওয়ান ইলেভেনের দুঃসময়ে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শেখ হাসিনার।
২০০৮ সালের বর্ধিত সভায় তিনিই প্রথম জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি এজেন্ডা পাঁচ নম্বর থেকে এক নম্বরে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেন। তিনি মনোনয়ন পেলে বগুড়া-৪ আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228