ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আ.লীগ চায় শক্ত প্রার্থী বিএনপির ভরসা টুকু

রনজিৎ রাজ সরকার, টাঙ্গাইল
🕐 ৩:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। শুভেচ্ছার পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তিনি নির্বাচনী এলাকায় সময় দিতে পারছেন না। তার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকেই। তবে আওয়ামী লীগ তার বিকল্প হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী খুঁজছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস ছালাম পিন্টু জেলহাজতে রয়েছেন। আইনি জটিলতায় তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ আসনে প্রার্থী হবেন বলে দলীয় ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, এ আসনে প্রার্থীদের ছড়াছড়ি থাকলেও যুদ্ধ হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যেই। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। তারা নানা কৌশলে নিজেদের অবস্থান জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন।

গোপালপুর-ভূঞাপুর উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ও গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডুর ব্যানার-ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। তবে এ আসনে এমপিপুত্র খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল দৌড়ঝাঁপ করলেও সাধারণ ভোটারদের মাঝে জায়গা করে নিতে পারেনি। ভোটাররা মনে করেন সালাম পিন্টুর পরিবারের কাছে ভোটের রাজনীতিতে কোনোভাবেই পরিপূর্ণ নন খন্দকার রোমেল। গোপালপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন এবং ভূঞাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। এ আসনের গোপালপুর উপজেলায় ভোটার এ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৮ হাজার ৬৯৬ জন ও নারী এক লাখ ২৭২ জন। ভূঞাপুর উপজেলায় ভোটার এক লাখ ৩৬ হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭০ হাজার ১৮৭ জন এবং নারী ৬৮ হাজার ৪৪১ জন। মোট ভোটার তিন লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৬ জন।

টাঙ্গাইল-২ আসনে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে হাতেম আলী তালুকদার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে আফাজ উদ্দিন ফকির বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে শামছুল হক তালুকদার ছানু এবং ১৯৮৮ সালে জাসদের আব্দুল মতিন হিরু এমপি নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে সাবেক শিক্ষা ও শিল্প উপমন্ত্রী বর্তমানে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম পিন্টু আওয়ামী লীগের হাতেম আলী তালুকদারকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম অর্থ সচিব খন্দকার আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন।

এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম পিন্টু দুই হাজার ২৭৪ ভোটের ব্যবধানে খন্দকার আসাদুজ্জামানকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে প্রথমে শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং পরে শিল্প উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম পিন্টুর ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে পরাজিত করে দ্বিতীয় মেয়াদে খন্দকার আসাদুজ্জামান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আসাদুজ্জামান তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে আসাদুজ্জামান অসুুুস্থ থাকায় তিনি নির্বাচনী এলাকায় সময় দিতে পারছেন না। তার অনুপস্থিতির সুযোগে দলীয় নানা কাজে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি।

এছাড়াও গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডুও দলের মনোনয়ন চাইবেন। অন্যদিকে বাবার অনুপস্থিতিতে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এদিকে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি আব্দুস ছালাম পিন্টু আইনি জটিলতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার ছোট ভাই যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ আসনে প্রার্থী হবেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (এরশাদ) শামছুল হক তালুকদার ছানু এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper