ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পবিত্র কোরআনের আলোকে ‘হলি কোরআন পার্ক’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২১

পবিত্র কোরআনের আলোকে ‘হলি কোরআন পার্ক’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই-এর আল-খাওয়ানিজ অঞ্চলে ৬৪ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে ‘হলি কুরআন পার্ক’। যা কুরআনুল কারিমের বর্ণনার আলোকে কয়েক বছর ধরে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটি নির্মাণে দুবাই মুদ্রায় ২৭ মিলিয়ন অর্থ ব্যয় হবে।

‘হলি কুরআন পার্ক’-এর এক প্রান্তে পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত উদ্ভিদসমূহ লাগানো হয়েছে। তন্মধ্যে অনেক উদ্ভিদ দ্বারা ভেষজ চিকিৎসা করা যায়। থাকছে দক্ষিণ স্পেনের ‘আল আন্দালুস’ বাগানের শৈলীতে নির্মিত একটি গুহা এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ পরিদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য একটি কাঁচের ঘর। গুহার মধ্যে কুরআনের উল্লেখিত অলৌকিক বিষয়গুলো আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। পার্কে নির্মান করা হয়েছে গুহা। এ পার্কে আরো যা থাকবে তা হলো— একটি বৃহৎ গ্রিনহাউজ, মরুভূমির বাগান এবং দক্ষিণ স্পেনের বাগানগুলোর শৈলীতে নির্মিত হবে আন্দালুসিয়ান বাগান।

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ৫৪ প্রজাতির মধ্যে ৩৫টি পার্কের অভ্যন্তরে প্রদর্শিত হবে এবং অবশিষ্ট ১৫টি গ্রিনহাউজে প্রদর্শিত হবে এবং আরো ২০টি প্রজাতি পার্কের বাইরের প্রদর্শিত হবে। পার্কে একটি টানেল থাকবে যা অলৌকিক ঘটনার অডিওসহ চিত্র তুরে ধরবে। পর্যাপ্ত খোলা জায়গা এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। পার্কটিতে থাকবে একটি দৃষ্টিনন্দন প্রধান প্রবেশ পথ, একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি ইসলামি বাগান, শিশুদের খেলার জায়গা, বসার চমৎকার জায়গা, হাঁটার আকর্ষণীয় পথ, ওমরা কর্নার, একটি আউটডোর থিয়েটার, কোরআনের মহিমা প্রদর্শনের স্থান ও ফোয়ারা। থাকবে বাথরুম, একটি কাচের ভবন, একটি মরূদ্যান, একটি পাম বাগান, একটি লেক, একটি রানিং ট্র্যাক, একটি সাইক্লিং ট্র্যাক ও একটি হাঁটার ট্র্যাক।

উদ্যোক্তারা মনে করছেন, গ্লাস হাউস এবং কোরআনের অলৌকিক গুহা দুটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে। গ্লাস হাউসে ১৫ ধরনের উদ্ভিদ লাগানো হবে। যে উদ্ভিদগুলোর কথা কোরআনে বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডুমুর, ডালিম, জলপাই, লেক, রসুন, পেঁয়াজ, মসূর, যব, গম, ভুট্টা, জিরা, আদা, কুমড়া, তেঁতুল, কলা, শসা-খিরা ইত্যাদি। মশলা, বার্লি, তুলসী, তরমুজ, আম, সিলার, আঙ্গুর, কাছিড় এবং তুঁত ইত্যাদি পরিকল্পনা মাফিক সাজানো থাকবে। অন্যান্য উদ্ভিদ লাগানো হবে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট বাগানে।

দুবাই মিউনিসিপালিটির মহাসচিব হুসেন নাসের বলেন, কোরআন পার্ক চিকিৎসা এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোরআনে উল্লেখ করা সব অলৌকিক বিষয়ের অর্থ ও ব্যাখ্যা করার জন্য একটি বড় সুযোগ। এই পার্কে গাছ ও বৃক্ষের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে বিজ্ঞানের এত উন্নতির পরও কোরআনের উল্লিখিত বৃক্ষের প্রতি তারা কত বেশি নির্ভরশীল।

সূত্র : আরব নিউজ।

 
Electronic Paper