বন্ধকী বস্তু থেকে উপকার গ্রহণ
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
প্রশ্ন : আমি একটি বাড়ির দুটি ফ্লোর ৩ বছর মেয়াদে বন্ধক নিয়ে বাড়ির মালিককে ৪০ লাখ টাকা দিতে চাই। বিনিময়ে দুই ফ্লোরের ভাড়া নিয়ে আমি লাভবান হব। মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাব। শুনেছি, এভাবে লেনদেন করা জায়েজ নেই। আসলেই কি জায়েজ নেই?
উত্তর : এ পদ্ধতিতে লেনদেন সম্পূর্ণ নাজায়েজ। কেন না ঋণ দিয়ে বিনিময়ে গ্রহীতা থেকে কোনো ধরনের উপকার গ্রহণ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত। বন্ধকের অনুমোদন রয়েছে কেবল ঋণ হিসেবে প্রদত্ত অর্থ বা বস্তু ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা স্বরূপ। তাই এ ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা থেকে ঋণের বিপরীতে দুটি ফ্লোর বন্ধক নিয়ে তা থেকে উপকৃত হওয়া কোনোক্রমেই জায়েজ হবে না।
মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন (র.) থেকে বর্ণিত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছেন। আমি এতে আরোহণ করেছি (এর কী হুকুম?)। তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, তুমি এর পিঠ থেকে (আরোহণ করে) যে উপকৃত হয়েছো, তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস-১৫০৭১)।
তাই এ ক্ষেত্রে বৈধভাবে লেনদেন করতে চাইলে ঋণ ও বন্ধকী চুক্তি না করে শুরু থেকেই ভাড়া চুক্তি করতে পারেন।
অর্থাৎ ফ্লোর দুটি আপনি দীর্ঘমেয়াদের জন্য ভাড়া নেবেন এবং সমুদয় ভাড়া এককালীন অগ্রিম পরিশোধ করে দেবেন। আর দীর্ঘমেয়াদের জন্য ভাড়া নিলে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কিছুটা কমেও চুক্তি করতে পারবেন।
উল্লিখিত চুক্তিতে ফ্লোর দুটির মালিক অগ্রিম যে টাকা গ্রহণ করবে, তা যেহেতু ভাড়া হিসেবে নেবে; তাই ওই টাকা সে নিজের কাজে লাগাতে পারবে। আর আপনিও অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় ফ্লোর দুটিতে বসবাস করতে পারবেন কিংবা ফ্লোর দুটিতে উন্নয়নমূলক কোনো কাজ (যেমন টাইলস ফিটিংস, ডেকোরেশন ইত্যাদি) করে তা অন্যের কাছে অধিক টাকায় ভাড়া দিতে পারবেন।