প্রিয়জনকে বলুন, ভালোবাসি!
শাইখ আতীক উল্লাহ
🕐 ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
চারপাশে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি থাকলে নিশ্চিন্তে কাজ করা যায়। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় পরিবেশটা অনুকূল হলে সময় শ্রম ও মেধার অপচয় রোধ করা যায়। অহেতুক ঝামেলা বাধে না।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) চাইতেন সমাজে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। সবার মধ্যে মিলমিশ থাকুক। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি অটুট থাকুক। নবীজি (সা.) বারবার বলতেন, একজন আরেকজনকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসতে।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘সাত প্রকারের মানুষকে আল্লাহ তা’আলা কেয়ামতের দিন ছায়া দান করবেন। দু’জন ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবাসে, আল্লাহর ভালোবাসার খাতিরে দু’জনে একত্রিত হয়। আল্লাহর ভালোবাসার তাগিদেই দু’জনে বিচ্ছিন্ন হয়’ (বুখারী ৬২৯)। নবীজি (সা.) শুধু এটুকুতেই শেষ করেননি, তিনি সামাজিক সৌহার্দ্য ‘কার্যক্রম’ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার চমৎকার রূপরেখাও বাতলে গেছেন। প্রিয় নবীজির (সা.) প্রধান একটা বৈশিষ্ট্য তিনি ‘তত্ত্ব’ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করতেন না। তত্ত্বের প্রায়োগিক দিকটাতেও যত্ন সহকারে নজর রাখতেন। নিজেই করে দেখাতেন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন। ভাইয়ে-ভাইয়ের মাঝে কীভাবে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হবে?
কোনো ভাইকে ভালো লাগলে তাকে জানিয়ে দেওয়া আমি আপনাকে ভালোবাসি! (আবু দাউদ)।
লজ্জার কিছু নেই। সংকোচ কিসের। তাকে আমার ভালো লাগে। এই ভালোলাগাটা আল্লাহরই জন্যে। তাহলে এটা ইবাদত। এটা সুন্নত। আবার তাকে ভালোবাসার কথা বলাও সুন্নত। সুন্নত আদায়ে পিছিয়ে থাকব কেন? জড়সড় হব কেন? পিছিয়ে থাকব কেন?