ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নামাজ-রোজা করেও জাহান্নামি!

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৮

ইসলামে সামগ্রিকভাবে সমস্ত মানুষ ও বিশেষভাবে মুসলমান ও নিজ প্রতিবেশীর অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষই এমন আছে, যারা খুবই আমল ইবাদত করে, কিন্তু প্রতিবেশীর সঙ্গে তার আচরণ ভালো নয়। তার মুখের ধারালো কথা থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না। এমন ব্যক্তি সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (র.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে-

এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), অমুক মহিলা দিনে রোজা রাখে, রাতে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ে, কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। রাসুলুল্লাহ? (সা.) বললেন, সে জাহান্নামি। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, অন্য এক মহিলা শুধু ফরজ সালাত আদায় করে, আর পনিরের একটুকরা করে তা দান করে। কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে কোনো কষ্ট দেয় না। তিনি বললেন, সে জান্নাতি। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস-১৩৬)।
সুতরাং যারা মানুষকে কষ্ট দেয় তাদের নফল ইবাদত কোনো কাজে আসবে না। তাদের নামাজ-রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে পারবে না। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে তাকে অবশ্যই মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চার গুণ থাকলে নারীর জান্নাত হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী কোনো নারীর মাঝে ৪টি গুণের সমন্বয় হলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
এক. যে নারী সময়মতো যথাযথ সালাত আদায় করেন।
দুই. যে নারী তার স্বামীর অনুগত স্ত্রী হন।
তিন. যে নারী রমজান মাসে রোজা পালন করেন।
চার. যে নারী তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করেন। তিনি জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

 
Electronic Paper