ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হতাশা ও একাকিত্ব মোকাবেলায় কী করব?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২১

হতাশা ও একাকিত্ব মোকাবেলায় কী করব?

হতাশা, নিঃসঙ্গতা, বিষণ্নতা, একাকিত্ব সময় ও পরিস্থিতির নানা চক্রে এসব আমাদের জীবনে আসে। এ থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সময় ব্যয় করে। গবেষকদের মতে, এভাবে একাকিত্ব দূর হয় না। এভাবে বরং মানুষ আরও বেশি একা হয়ে যায়। হতাশা ও বিষণ্নতা ঘনীভূত হয়। তাই আমাদের ফিরে দেখতে হবে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতের জন্য এ ব্যাপারে কী সুন্নাহ রেখে গেছেন।

একাকিত্ব ও হতাশা মোকাবেলায় নবীজি (সা.)-এর ছয়টি সুন্নত হচ্ছে- জামাতে নামাজ আদায়, সালাম বিনিময়, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, মানুষকে ভালোবাসা, সাক্ষাৎ করা ও কঠিন সময়ে একত্রে থাকা।

মুসলমান হিসেবে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহে একবার সমাজের সকলের উপস্থিতিতে বড় সমাবেশে জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার লাভ ছাড়াও আমরা সমাজের অন্য সকলের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাই এবং আমাদের একাকিত্ব দূর করতে পারি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একাকী নামাজ আদায়ের থেকে জামাতে নামাজ আদায় সাতাশ গুণ বেশি প্রতিদানের। (বুখারী ও মুসলিম)।

রাসুল (সা.) সালামের ব্যাপক প্রচলনের জন্য উৎসাহিত করেছেন। চেনা হোক বা অচেনা সকলকেই সালাম দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলব না, যার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠবে? তোমরা বেশি বেশি একে অন্যকে সালাম করো। (মুসলিম)। সালামের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির সঙ্গে অপর একজনের সম্পর্কের সূচনা হয়। এর মাধ্যমে মানুষ তার একাকিত্ব থেকে বের হতে পারে।

 
Electronic Paper